কয়েক মাস আগেই গঠিত হয়েছে মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বে সরকার। শিবসেনা, কংগ্রেস ও এনসিপি মিলে মহাবিকাশ আঘাদি গঠিত হয়েছে, যারা একসঙ্গে সরকার চালাচ্ছে। এই প্রথমবার ভিন্নধর্মী আদর্শে বিশ্বাসী দলগুলির মধ্যে বিভেদ প্রকাশ্যে এসে গেল। ভিমা কোরেগাঁও মামলা এনআইএকে পাঠানোর কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে মহারাষ্ট্র সরকার সম্মতি দেওয়ার অখুশি এনসিপি। সরাসরি সেই কথা বললেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার।
এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নেই বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদি কংগ্রেস পার্টির প্রধান। পাওয়ার বলেন যে আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। সেখানে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ উচিত নয়, ও সেই সিদ্ধান্তকে মহারাষ্ট্রের সমর্থন অত্যন্ত অন্যায়।
এলগার পরিষদ মামলা এনআইএকে দিতে সম্মত হয়েছে কেন্দ্র। ডিসেম্বর ৩১, ২০১৭ সালে বিদ্বজনেরা এলগার পরিষদে বক্তব্য রাখেন। পরের দিন গণ্ডগোল বাধে ভিমা কোরেগাঁতে। সেই সংক্রান্ত মামলায় বর্তমানে জেলে বেশ কিছু বুদ্ধিজীবী। এবার সেই মামলা জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইকে) পাঠিয়েছে কেন্দ্র। সেই সংক্রান্ত ফাইল পাশ করে দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকারও। এই নিয়েই আপত্তি শরদ পাওয়ারের।
রাজ্যের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অনিল দেশমুখ জানান যে উদ্ধব ঠাকরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে তাঁর মতে এই কেস এনআইএকে দেওয়ার আগে রাজ্যের সঙ্গে শলা-পরামর্শ করা উচিত ছিল কেন্দ্রের। প্রসঙ্গত দেশমুখ এনসিপি দলের সদস্য।
নয়া সরকার আসার পরেই পাওয়ার চিঠি লেখেন ঠাকরেকে এই মামলায় এসআইটি তদন্তের জন্য। এরপর অজিত পাওয়ারের নেতৃত্ব মহারাষ্ট্র সরকার এই বিষয়ে তদন্তের তোড়জোড়ও করছিল। কিন্তু তার আগেই কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত নেয়। ছাড়পত্র দেন উদ্ধবও। সেই নিয়ে গণ্ডগোল। সরকার গঠনের তিন মাস হওয়ার আগেই সংবেদনশীল ইস্যুতে সামনে এসে গেল দুই দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব।