কর্নাটক হাইকোর্ট ধর্ষণের মামলায় এক অভিযুক্তকে অগ্রিম জামিন দিয়েছে। অভিযোগকারিনীর বয়ানের বিষয় নানান প্রশ্ন তুলেছে আদালত। ধর্ষণের পর মহিলা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, বয়ানের এই অংশ নিয়ে বিশেষ আপত্তি আদালতের। তাদের মতে এহেন আচরণ ভারতীয় নারীদের ব্য়বহারের সঙ্গে খাপ খায় না।
এই মামলায় মহিলার দাবি যে তাঁকে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনার গতিপ্রকৃতি বিচার করে সেই দাবি নিয়েও একাধিক প্রশ্ন আছে আদালতের।
অভিযোগকারিনী গত দুই বছর ধরে কাজ করছিলেন অভিযুক্তের হয়ে। বিচারপতি কৃষ্ণ দিক্ষিতের প্রশ্ন যে কেন ওই মহিলা রাত ১১ টার সময় অফিস গিয়েছিলেন, সেটার উল্লেখ নেই। এরপর আবেদনকারীর সঙ্গে মদ্যপান করায় আপত্তি জানাননি তিনি। তাঁকে মহিলা সারা রাত রাত নিজের সঙ্গে থাকতে দিয়েছিলেন। এই দাবি যে ধর্ষণের পর ক্লান্ত হয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন এটা ভারতীয় মহিলাদের আচরণের সঙ্গে মানায় না বলেই মতামত বিচারপতির।
অগ্রিম জামিন মঞ্জুর করে বিচারপতি বলেন ধর্ষণ হওয়ার পর এভাবে ব্যবহার করে না মহিলারা। ৪২ বছরের ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি গুরুতর, এটা মেনে নিয়েও আদালতের বক্তব্য যে শুধু সেটার জেরে কোনও ব্যক্তির স্বাধীনতা খর্ব করা যায় না, যেখানে পুলিশের থেকে কোনও তথ্য মিলছে না।
একটি চিঠির প্রসঙ্গেও উঠে আসে শুনানিতে যেখানে বছর ২৭-এর অভিযোগকারিনী বলেছেন যে তিনি প্রত্যাহার করে নেবেন এই কেস সমঝোতা হয়ে গেলে।
মহিলার দাবি যে আগে থেকেই যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য তার ওপর জোর করা হচ্ছিল। আদালতের প্রশ্ন যে তখন কেন আইনি পথ নেননি অভিযোগকারিনী।
মহিলা ও অভিযুক্ত ব্যক্তি একটি হোটেলে খানাপিনা করে গাড়িতে উঠেছিলেন। এই পুরো সময় ধরে কেন মহিলা পুলিশ বা আসেপাশের জনতাকে এই ব্যক্তির বিষয় অবহিত করাননি, সেই প্রশ্নও করেছে আদালত।
এই সব আপাত অসঙ্গতির জেরে ১ লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে অগ্রিম জামিন দিয়েছে কর্নাটক আদালত।