ভারতে গণতন্ত্র নেই বলে আক্রমণ শানিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। নাম না করে তাঁকে পালটা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। খোঁচা দিলেন, দিল্লিতে যাঁরা তাঁকে গণতন্ত্রের পাঠ পড়ান, তাঁরা নিজেদের ক্ষমতায় থাকা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোট আয়োজন করছেন না।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও জম্মু ও কাশ্মীরের জেলা উন্নয়ন পরিষদ ভোটের আয়োজনের প্রসঙ্গে কথা বলার সময় নাম না করে কংগ্রেসকে নিশানা করেন মোদী। বলেন, ‘কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ার পরে অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে প্রতিনিধি নির্বাচন করেছে জম্মু ও কাশ্মীর। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও পুদুচেরি নির্বাচন করছে না।’ তিনি জানান, দিল্লির কয়েকজন মানুষ তাঁকে দিনের পর দিন গণতন্ত্র নিয়ে জ্ঞান দিচ্ছেন। ‘কুরুচিকর’ শব্দ ব্যবহার করছেন। কিন্তু তাঁরাই (কংগ্রেসের নেতারা) পুদুচেরিতে পঞ্চায়েত এবং পুরসভার ভোট করছেন না।
মোদী বলেন, ‘আমরা জম্মু ও কাশ্মীর সরকারে ছিলাম। কিন্তু আপনারা জানেন যে আমরা সরকার থেকে বেরিয়ে এসেছি। কারণ পঞ্চায়েত ভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছিলাম আমরা এবং মানুষকে নিজেদের প্রতিনিধি বেছে নেওয়ার অধিকার দেওয়া উচিত। এখন আপনাদের প্রতিনিধি আছেন, যাঁরা আপনাদের জন্য কাজ সকরবেন। কোভিড-১৯, ঠান্ডা সত্ত্বেও ভোটাররা এসেছেন এবং নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। মহাত্মা গান্ধীর গ্রাম স্বরাজ লক্ষ্যে অবিচল থেকেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ।’
শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষদের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পের আওতার কর্মসূচির সূচনা করেন মোদী। তার ফলে নয়া কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ২১ লাখ মানুষ উপকৃত হবেন বলে দাবি করেছে কেন্দ্র। সেখানেই তিনি নাম না কংগ্রেসের আক্রমণ করেন। একইসঙ্গ তিনি বলেন, ‘এটা জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য ঐতিহাসিক দিন। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রত্যেক মানুষ আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। গতকাল (২৫ ডিসেম্বর) অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মবার্ষিকীতে আমি এটার সূচনা করতে চেয়েছিলাম। জম্মু ও কাশ্মীরের সঙ্গে অটলজির বিশেষ যোগ ছিল। যা এখন তাঁর দেখানো ইনসানিয়ত, জম্মুরিয়াত এবং কাশ্মীরিয়াত পথে এগিয়ে যাচ্ছে।’ মোদী যোগ করেন, ‘যে মানুষের জন্য আমরা কাজ করছি, তাঁরা যদি আমাদের প্রশংসা করেন, তাহলে তা আমাদের কাছে আশীর্বাদের হয়।’