তিহাড় জেলে যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছে মুকেশ সিং। আজ সুপ্রিম কোর্টে এই অভিযোগ করলেন নির্ভয়াকাণ্ডের অন্যতম দণ্ডিতের আইনজীবী অঞ্জনা প্রকাশ।
আরও পড়ুন : নির্ভয়া কাণ্ডের সাত বছর- ফাঁসুড়ে হতে চেয়ে বিদেশ থেকে চিঠি তিহাড়ে
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজের প্রক্রিয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল মুকেশ। সেই মামলার শুনানিতে মুকেশের আইনজীবী বলেন, 'আদালত আমায় শুধু মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে। আমায় কি যৌন হেনস্থা করার সাজা দেওয়া হয়েছে?'
আরও পড়ুন : হিংস্র শ্বাপদের মতো মরবে নির্ভয়ার অত্যাচারীরা, ঘোষণা ফাঁসুড়ের
যদিও যৌন হেনস্থার বিষয়টি প্রাণভিক্ষার আর্জির ভিত্তি হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন তুষার মেহতা। তিনি বলেন, 'এটা বিলাসিতার বিচারব্যবস্থা নয় যে আমার সঙ্গে যেহেতু খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে, তাই আমি নৃশংস অপরাধে দোষী হওয়া সত্ত্বেও আমার প্রাণভিক্ষা দেওয়া হবে।'
আরও পড়ুন : নির্ভয়া-দোষীদের ফাঁসির ড্রেস রিহার্সাল হল তিহাড়ে
এর আগে মুকেশের আইনজীবী দাবি করেন, রাষ্ট্রপতি যে প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন তা বিধিবহির্ভূত। রাষ্ট্রপতি ভবনকে ট্রায়াল (কোর্টের) মামলার রায়-সহ বিভিন্ন নথি ও প্রমাণ খতিয়ে দেখার সুযোগ দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন : 'তিহাড় সব কাগজ দিয়েছে', নির্ভয়ার দোষীদের আইনজীবীর আর্জি খারিজ
বিচারপতি আর ভানমুতীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চের কাছে মুকেশের আইনজীবী অঞ্জনা জানান, যদি প্রামাণ্য নথি দেওয়া হত তাহলে তা ইঙ্গিত করত মুকেশের দেরিতে আইনি সাহায্য পাওয়ার দিকটি। বা তাহলে শুধুমাত্র দুই দণ্ডিত - রাম সিং ও অক্ষয় কুমারের ডিএনএ নমুনা পাওয়ার বিষয়টি ইঙ্গিত করত।
আরও পড়ুন : 'ইন্দিরা জয়সিংয়ের মতো লোকের জন্য ধর্ষণ হয়', কড়া জবাব নির্ভয়ার মা
মুকেশের আইনজীবী আরও অভিযোগ করেন, প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজের আগে মুকেশকে আলাদাভাবে রাখা হয়েছিল। যা নিয়ম লঙ্ঘন তো বটেই, পাশাপাশি অপদস্থের শিকারও হয়েছিল মুকেশ।
আরও পড়ুন : কঙ্গনার তোপের মুখে আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং, বললেন 'এঁরাই ধর্ষকদের জন্ম দেয়'
পালটা সওয়ালে তুষার মেহতা মন্তব্য করেন, এটা অদ্ভুত বিষয় যে জীবনের পবিত্রতার কথা বলছে দোষী। অন্যদিকে, প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করতে রাষ্ট্রপতির বেশি সময় না নেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন মুকেশের আইনজীবী। এনিয়ে তুষার মেহতা বলেন, 'রাষ্ট্রপতি দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কারণ সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী প্রাণভিক্ষার আর্জি নিয়ে দেরিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা দণ্ডিতের উপর অমানবিক প্রভাব ফেলে।'
আর পড়ুন :'মেয়ের মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে', কাঁদতে কাঁদতে বললেন নির্ভয়ার মা
দু'পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর রায়দান স্থগিত রাখে তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চে। বুধবার রায়ে দেবে শীর্ষ আদলতের বেঞ্চ।