এবার কি মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নয়া সমীকরণ তৈরি হতে চলেছে? শনিবার শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত এবং বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের পর সাক্ষাতের পর সেই জল্পনা শুরু হয়েছে। সরগরম হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি। যদিও দু'দলই দাবি করেছে, সেই সাক্ষাতের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।
অন্যান্য বিষয় তো ছিলই, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে লাগাতার বাকযুদ্ধ চলছে শিবসেনা ও বিজেপির। একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদগারের ক্ষেত্রে দু'দলের অন্যতম পুরোধা ছিলেন রাউত এবং ফড়ণবীস। বিশেষত বিজেপি ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কঙ্গনা রানাওয়াতের অফিসের একাংশ ভেঙে দেওয়া নিয়ে দুই নেতার মধ্যে কথার লড়াই চরমে উঠেছিল।
তারইমধ্যে শনিবার মুম্বইয়ের পশ্চিম শহরতলির একটি বিলাসবহুল হোটেল দেখা করেন রাউত ও ফড়ণবীস। গত বছর বিধানসভা নির্বাচন শেষে জোট ভেঙে যাওয়ার এই প্রথম দুই নেতা দেখা করেছেন। দু'ঘণ্টার সেই বৈঠক ঘিরে স্বভাবতই রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।
যদিও শিবসেনা সাংসদ দাবি করেছেন, বৈঠকের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। শিবসেনার মুখপাত্র সমনার কার্যনির্বাহী সম্পাদক বলেন, 'কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য গতকাল (শনিবার) আমি দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। উনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, উনি বিরোধী দলনেতা এবং বিহার নির্বাচনে বিজেপির দায়িত্বে আছেন। মতাদর্শ নিয়ে আমাদের মধ্যে বিভেদ থাকতে পারে। তবে আমরা শত্রু নই।'
পরে আরও একধাপ এগিয়ে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, ‘ফড়ণবীসের সঙ্গে দেখা করা কি কোনও অপরাধ? যিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বর্তমানে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। আমি যখন শরদ পাওয়ারের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম, তখনই ঘোষণা করেছিলাম যে আমি ফড়ণবীস, রাহুল গান্ধী এবং অমিত শাহের সঙ্গেও সাক্ষাৎকারের পরিকল্পনা করেছি।’
একই দাবি করেছেন ফড়ণবীস। তিনি বলেন, ‘শিবসেনার সংবাদপত্র সামনার জন্য সঞ্জয় রাউতজি আমার সাক্ষাৎকার নিতে চেয়েছিলেন। সেই বিষয়ে আলোচনার জন্য বৈঠক হয়েছে। কারণ আমি কয়েকটি শর্ত রেখেছিলাম। কোনওরকম সম্পাদনা ছাড়াই সেই সাক্ষাৎকার প্রকাশের দাবি জানিয়েছিলাম আমি। কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি।’
তাতে অবশ্য রাজনৈতিক জল্পনায় ইতি পড়ছে না। বরং অনেকেই নয়া সমীকরণের ইঙ্গিত পাচ্ছেন।