বিজেপির প্রতি ফেসবুকের ‘নরম অবস্থান’ নিয়ে রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি ক্রমশ বাড়ছে। তারইমধ্যে সংস্থার এক মুখপাত্র দাবি করলেন, ফেসবুক যাবতীয় উস্কানিমূলক মন্তব্যের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপায়। যে সমস্ত কনটেন্ট হিংসা ছড়াতে পারে, ফেসবুকে তার কোনও জায়গা নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, ‘কারোর কোনও রাজনৈতিক অবস্থান বা খুঁটির বিবেচনা না করেই আমরা সারা বিশ্বে এই নীতিই প্রণয়ন করি।’ তবে সেই কাজটা একেবারে নিখুঁতভাবে হয়, সেই দাবি অবশ্য করেননি ফেসবুকের মুখপাত্র। তিনি জানান, পুরো বিষয়টি ভালোভাবে প্রণয়নের পথে ক্রমশ অগ্রসর হচ্ছে ফেসবুক। সেই প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিয়মিত অডিটও করা হচ্ছে।
‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন দাবি করা হয়, ভারতে ব্যবসা ধাক্কা খাওয়ার 'আশঙ্কা'-য় বিজেপি নেতানেত্রীদের উস্কানিমূলক পোস্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তা নিয়ে একটি টুইটবার্তায় রাহুল বলেন, 'ভারতে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপকে নিয়ন্ত্রণ করে বিজেপি এবং আরএসএস। এর মাধ্যমে তারা ভুয়ো খবর ছড়ায় এবং ঘৃণা ছড়ায় এবং ভোটারদের প্রভাবিত করতে ব্যবহার করে। অবশেষে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফেসবুকের সত্যিটা সামনে নিয়ে এসেছে।'
যদিও রাহুলকে পালটা কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা খোঁচা দেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ। তিনি বলেন, ‘যে হেরো কংগ্রেস নিজেদের দলের লোকেদেরও প্রভাবিত করতে পারে না, তারাই এক জিনিস বারবার বলতে থাকে যে সারা বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করে বিজেপি এবং আরএসএস। ভোটের আগে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা এবং ফেসবুকের সঙ্গে তথ্য ব্যবহারের জন্য প্রকাশ্যে ধরা পড়েছিলেন আপনি। আর এখন আমাদের প্রশ্ন করার হঠকারিতা আসছে?’