একদিকে লক্ষ্য, চিনকে কড়া বার্তা দেওয়া। অন্যদিকে, সীমান্তে মোতায়েন বাহিনীর মনোবল বৃদ্ধি করা। লেহ সফরে সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য কোনও কসুর ছাড়লেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সীমান্তে জওয়ানরা যে বীরত্বের পরিচয় দিচ্ছেন, সেজন্য তাঁদের ভূয়সী প্রশংসা করলেন। আবার নাম না করে চিনকে কড়া বার্তাও দিলেন। একনজরে দেখে নিন নিমোতে জওয়ানদের উদ্দেশে মোদীর ভাষণের সেরা কয়েকটি উক্তি -
আপনারা এবং আপনাদের সহকর্মীরা যে বীরত্ব দেখিয়েছেন, তা বিশ্বের কাছে ভারতের শক্তির সম্বন্ধে বার্তা পৌঁছে দিয়েছে।
লেহ, লাদাখ থেকে সিয়াচেন, কার্গিল এবং গালওয়ানের বরফশীতল জল..প্রত্যেক পাহাড়, প্রত্যেক শৃঙ্গ ভারতীয় জওয়ানদের বীরত্ব দেখেছে।
আপনারা যেখানে মোতায়েন আছেন, তার থেকেও বেশি আপনাদের সাহসিকতা।
শত্রুপক্ষ আপনাদের মধ্যে থাকা আগুন এবং আক্রোশ দেখেছে।
১৪ কোরের সাহসিকতা এবং বীরত্ব নিয়ে সারা বিশ্বের মানুষ আলোচনা করবেন। দেশের প্রতিটি বাড়িতে আপনাদের সাহসিকতা এবং বীরত্বের প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে।
আমার সামনে মহিলা জওয়ানদের দেখছি। সীমান্তের যুদ্ধক্ষেত্রে এই দৃশ্য অনুপ্রেরণামূলক। আজ আমি আপনাদের গরিমার বিষয়ে কথা বলব।
আমরা সেই মানুষ, যাঁরা বাঁশি বাজিয়ে ভগবান কৃষ্ণের কাছে প্রার্থনা করি। কিন্তু আমরাই সেই মানুষ যাঁরা ভগবান কৃষ্ণের শ্রদ্ধা করি এবং সুদর্শন চক্রধারী সেই ভগবান কৃষ্ণকেও অনুসরণ করি।
সাম্রাজ্যবাদের যুগ শেষ হয়ে গিয়েছে। এটা বিকাশবাদের যুগ। বিকাশবাদই ভবিষ্যত। অতীত সাক্ষী রয়েছে, সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, নাহলে হার মেনেছে।
রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় দুই মায়ের কথা স্মরণ করি আমি। একজন হলেন - আমাদের সবার ভারতমাতা। আর অপর মা হলেন, সেইসব মায়েরা, যাঁরা আপনাদের মতো বীর সন্তানদের জন্ম দিয়েছেন।