'আমাদের সংক্রমণের কতটা সম্ভাবনা রয়েছে?' 'আমাদের পরিবারের কী হবে?' উহানে উড়ে যাওয়ার আগে এমনই সব বিষয় নিয়ে চিন্তিত ছিলেন বিমানকর্মীরা। এমনটাই জানালেন এয়ার ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন অমিতাভ সিং।
আরও পড়ুন : করোনাভাইরাসের উপসর্গ কী কী ? অসুখই বা কীভাবে রুখবেন? হেল্পলাইন চালু কেন্দ্রের
তবে তারই মধ্যে সমস্ত ভয়ডর, আশঙ্কা উপেক্ষা করে উহান থেকে দু'দফায় মলদ্বীপের সাত নাগরিক-সহ ৬৫৪ জনকে ফিরিয়ে এনেছেন ১৯ জন বিমানকর্মী। তবে সেই যাত্রাটা একেবারেই সহজ ছিল না। বিশেষত যখন এয়ার ইন্ডিয়ার প্রথম বিমানটি উহানে নামছিল, তখন যেন একটা অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর অফ অপারেশন অমিতাভের। যিনি এগজিকিউটিভ কম্যান্ডার হিসেবে উহান গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন : করোনাভাইরাসের নাম বদলে Covid-19 রাখল WHO, মৃতের সংখ্যা ১১০০ ছাড়াল
তিনি জানান, সমস্ত রাস্তা-বাড়িতে আলো জ্বললেও (উহানকে) একটি মৃত শহর মনে হচ্ছিল। কারণ পুরো শহরটাই জনমানবশূন্য হয়ে গিয়েছিল। তাঁর কথায়, 'আমরা যখন নামছিলাম তখন সবকিছু স্বাভাবিক ছিল। কিন্ত আশপাশে কোনও মানুষ ছিলেন না।'
আরও পড়ুন : কলকাতায় করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হওয়ার খবর ভুল, জানাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ
অমিতাভ জানান, মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে তাঁদের উহানে উড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হয়েছিল। সেজন্য বিমানকর্মীদের কিছুটা চিন্তিত ছিলেন। তা নিয়ে তাঁদের উত্তরও দেওয়া হয়। তারপর সব বিমানকর্মীই সেই মিশনে সামিল হন। তা অত্যন্ত উৎসাহজনক ছিল বলে মন্তব্য করেন ডিরেক্টর অফ অপারেশন।
আরও পড়ুন : করোনা আতঙ্কের মাঝে ভালোবাসার জয়,মধ্যপ্রদেশে চিনের পাত্রীকে বিয়ে করলেন ভারতীয়
এদিকে এয়ার ইন্ডিয়ার এক কর্মী বলেন, 'আমরা ভয় জয় করেছিলাম।' তিনি উহানগামী দুটি এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানেই ছিলেন। উহানে যে ভারতীয়দের উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁদের ব্যবহারের প্রশংসা করেছেন ওই বিমানকর্মী।