কবে থেকে লোকাল-সহ যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে, সে বিষয়ে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে রেলের তরফে জানানো হল, সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের চাহিদার উপর ভিত্তি করে ট্রেন চালানো হবে। একইসঙ্গে সেখানকার করোনাভাইরাস পরিস্থিতিও বিবেচনা করা হবে।
গত বৃহস্পতিবার রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব জানান, রাজ্য সরকারের প্রয়োজন এবং করোনা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর বিষয়টি এবার থেকে প্রতিদিন বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।
তিনি বলেন, 'যাত্রীবাহী ট্রেনের প্রসঙ্গে বলতে গেলে আমরা এখন দৈনন্দিন ভিত্তিতে ট্রেনের চাহিদা, ট্রেনের ভিড় (কোন লাইনে ট্রেনের চাপ কেমন) এবং করোনা পরিস্থিতির মূল্যায়ন করব। যেখানে প্রয়োজন আছে, সেখানেই আমরা ট্রেন চালাব।'
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের জেরে গত ২২ মার্চ থেকে দেশজুড়ে যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা বন্ধ ছিল। পরে ১২ মে থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ১৫ জোড়া বিশেষ ট্রেন (রাজধানী) চালু করা হয়। ১ জুন থেকে আরও ১০০ জোড়া দূরপাল্লার ট্রেন দৌড়াতে শুরু করে। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে বাড়তি ৮০ টি ট্রেন শুরু হয়। পরে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ৪০ টি 'ক্লোন ট্রেন' চালু করে রেল। সেইসঙ্গে উৎসবের মরশুমে অতিরিক্ত ২০০ টি বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। বাড়তি যাত্রীর চাপ সামাল দিতে ১৫ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সেই পরিষেবা মিলবে।
এর আগে, লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালুর বিষয়ে রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেছিলেন, ‘সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার প্রস্তুত থাকলে এবং তারা যদি আমাদের জানায়, তবেই আমরা শহরতলিতে রেল পরিষেবা পুনরায় চালু করার কথা বিবেচনা করব। এই মুহূর্তে আমাদের করোনা সংক্রমণ অনেকটা কমিয়ে আনতে হবে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সবুজ সংকেত পেলেই আমরা পুনরায় লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করার প্রস্তুতি শুরু করব।’