আক্রমণ শানাতে গিয়েছিলেন বাম সরকারকে। কিন্তু সেই সময় ধর্ষণ নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করলেন কেরালার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মুল্লাপল্লী রামাচন্দ্রন। তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। যদিও পরে নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা।
মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের ইস্তফার দাবি জানিয়ে মুল্লাপল্লী বলেন, ‘আত্মসম্মান থাকা কোনও মহিলা যদি ধর্ষণের শিকার হন, তাহলে তিনি মারা যাবেন। নাহলে আবারও যৌন নিগৃহীত না হওয়ার চেষ্টা করবেন। কিন্তু প্রতিদিন তিনি বলছেন, তাঁকে কেউ ধর্ষণ করেছেন।’
সোনা পাচার কাণ্ড নিয়ে এমনিতেই উত্তাল হয়ে আছে কেরালার রাজনীতি। সেই ঘটনার পালটা হিসেবে কংগ্রেস জমানার সৌর দুর্নীতির বিষয়টি উত্থাপন করে পালটা আক্রমণ শানাতে থাকে বাম সরকার। তা নিয়ে সৌর দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত সরিতার নাম না করে মুল্লাপল্লী বলেন, ‘নিজের গল্প বলার মরিয়া প্রয়াস হিসেবে বাম সরকার একজন যৌনকর্মীকে নিয়ে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রীর ভয় দেখানো এবার চলবে না। একজন মহিলা যখন একবার ধর্ষণের শিকার হন, তখন একজন বুঝতে পারেন। তিনি যদি বলেন যে একাধিকবার হেনস্থার শিকার হয়েছেন, তাহলে তাঁকে কেউ বিশ্বাস করেন না। কেউ তাঁর মিথ্যায় বিশ্বাস করবে না।’ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারির পর একাধিক কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন সরিতা।
সেই মন্তব্যের পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রোতারা। সেখানেই ক্ষমা চেয়ে নেন মুল্লাপল্লী। সেই মন্তব্যের জন্য অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেতারাও। রাজ্য মহিলা কমিশনের সভাপতি এমসি জোসেফাইন জানিয়েছেন, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির মন্তব্য রুচিহীন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
সিপিআই(এম)-সহ বিভিন্ন মহিলা সংগঠন মুল্লাপল্লীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা বলেন, ‘এই মন্তব্যে ওঁর মানসিকতা বোঝা যায়। উনি এই প্রথম মহিলাদের বিরুদ্ধে বলছেন না। এটা নিয়ে আমরা কংগ্রেস সভাপতির মত জানতে চাই।’