৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা। মাথার উপর গনগনে তাপ। পশ্চিম রাজস্থানের রুক্ষ প্রান্তর। সেই প্রান্তর ধরেই বাবার বাড়ি থেকে নিজেদের বাড়িতে ফিরছিলেন ঠাকুমা ও ৫ বছরের নাতনি। রাজস্থানের জালোর জেলার ঘটনা। রাস্তার দূরত্ব কমানোর জন্য মরুভূমি ও পাহাড়ের পথ ধরেই আসছিলেন তারা। প্রায় ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ। ৬০ বছর বয়সী সুখী দেবীর সঙ্গে নাতনি অঞ্জলি। রবিবার সকালে বেরনোর সময় তারা সঙ্গে কোনও জলের বোতল নেননি। পুলিশ আধিকারিক পদ্ম রাম বলেন, ‘পথ শ্রমে ক্লান্ত ছিলেন দুজনেই। মরুভূমির মধ্যে হাঁটার সময় ছোট্ট মেয়েটি জল চায় তার ঠাকুমার কাছে। কিন্তু কাছে পিঠে কোথাও জল পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে একজন মেষপালকের সঙ্গেও তাদের দেখা হয়। কিন্তু সে জল দিতে চায়নি। এরপর অঞ্জলি অজ্ঞান হয়ে যায়। ঠাকুমার সামনেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ছোট্ট অঞ্জলি।’
এদিকে ঘটনার পর অপর একজন মেষপালক দুজনকে পড়ে থাকতে দেখে। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে খবর দেন তিনি। এরপর সেখান থেকে পুলিশের কাছে খবর যায়। পুলিশ এসে তাঁকে জল দেয়। কিছুটা সুস্থ হন তিনি। কিন্তু ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে অঞ্জলির। সুখী দেবীকে ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। পুলিশের দাবি, ১ কিলোমিটার পরেই কুয়ো ছিল। কিন্তু ওরা এভাবে মরুভূমি মধ্যে দিয়ে আসতে গিয়েই ভুল করেছে। গোটা ঘটনায় কংগ্রেসকে বিঁধে টুইট করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়া। তাঁর দাবি. গোটা রাজস্থানে দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি হয়েছে। কংগ্রেস মুখমাত্র অর্চনা শর্মার দাবি, ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। ওদের সঙ্গে জল থাকলে এমনটা হত না।