জলের অভাব দুর-দুরান্তের শহরগুলিতে। তাই উট হত্যার সিদ্ধান্ত নিল অস্ট্রেলিয়া সরকার। বুধবার থেকেই হেলিকপ্টার করে উট শিকারে বেরিয়ে পড়েছেন শার্প শুটাররা। উটদের দোষ? খরার কারণে শুকিয়ে গিয়েছে জলের উত্স। তাই লোকালয়ে জলের খোঁজে দলবল নিয়ে আসছে উটগুলি। শুধু জল নয়, খাদ্য ও পরিকাঠামো ব্যবস্থাও ছাড়খাড় করে দিচ্ছে উটগুলি। এতে ক্ষতি হচ্ছে আদিবীসীদের। সবদিক বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সিডনির প্রশাসন জানিয়েছেন এই উটগুলির জন্য গাড়িচালকদেরও খুব অসুবিধা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে গরম ও শুষ্ক বছর ছিল ২০১৯। এর ফলে অনেক শহরে জলের অভাব অনুভূত হয়েছে। এমনকী যে বুশফায়ারের খবর পাওয়া গিয়েছে, তার নেপথ্যেও আছে জলের অভাব।
দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর পশ্চিমে প্রায় ২৩০০ জন আদিবাসী থাকে। এই আদিবাসীদের রসদেই টান পড়ছে উটের উপদ্রবে। পাঁচদিন ধরে চলবে নিধন যজ্ঞ, জানিয়েছে অজি রাজ্য সরকার। অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশমন্ত্রকও এই নিধন যজ্ঞকে সমর্থন করছে। খরার ফলে জলের জন্য লড়াই করতে গিয়ে ইতিমধ্যে অনেক উটের মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবেশমন্ত্রকের আশঙ্কা। সেই মৃত পশুরা জলের অনেক উত্স বিষাক্ত করে দিয়েছে বলে পরিবেশবিদদের আশঙ্কা।
১৮৪০ সালে প্রথম অস্ট্রেলিয়ায় উট নিয়ে আসা হয় মূলত দেশের বিস্তীর্ণ লোকালয়ে পৌঁছানোর জন্য। ভারত থেকে প্রায় ২০০০০ উট রফতানি করে অস্ট্রলিয়া। এখন প্রায় দশ লক্ষ উট আছে অস্ট্রেলিয়ায়। তার মধ্যে দশ হাজারকে নিকেষ করে দেওয়া হবে।