সুইডেনের স্কুলে ভয়ঙ্কর হামলা। স্কুলে ঢুকে গুলি চালালো বন্দুকবাজ। তাতে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যারমধ্যে রয়েছে বন্দুকধারী ব্যক্তি। এছাড়াও, বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। যদিও চূড়ান্ত নিহত বা আহতের সংখ্যা এখনও নির্দিষ্টভাবে জানানো হয়নি। দেশের প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনাকে সুইডেনের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্দুকবাজের হানা বলে উল্লেখ করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রিসবার্গস্কা স্কুল ক্যাম্পাসে।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোয় বারে ঢুকে হামলা চালাল বন্দুকধারী দুষ্কৃতীরা, গুলিতে নিহত ১০, জখম ৭
জানা গিয়েছে, স্কুলটি স্টকহোম থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার পশ্চিমে ওরেব্রো শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত। সেখানে এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট অনুসারে, স্কুলে ২০ বছরের বেশি বয়সি পড়ুয়াদের প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক কোর্স করানো হয়। এতে অভিবাসীদের জন্য সুইডিশ ক্লাস, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং বিশেষভাবে সক্ষমদেরও পড়ানো হয়। এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় পুলিশ প্রধান রবার্তো ইড ফরেস্ট জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে তদন্তকারীদের পক্ষে ঘটনার সঠিক কারণ নির্ধারণ করা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি আশঙ্কা করেছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, একজনই এই বন্দুক হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে এখনও অপরাধের কোনও ইতিহাস খুঁজে পায়নি পুলিশ। স্থানীয় পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন , হামলার বিষয়ে তাঁদের কোনও তথ্য আগে থেকে ছিল না। এই ঘটনায় এখনও কোনও সন্ত্রাসবাদের জড়িত থাকার প্রমাণ মেলেনি। এবিষয়ে স্কুলের প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষিকা জানিয়েছেন, তিনি কমপক্ষে ১০ টি গুলির আওয়াজ শুনেছেন। এদিন ক্যাম্পাসে পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষার পর বিকেলে ক্যাম্পাসে কম সংখ্যক পড়ুয়া ছিল। তিনি জানান, এই ঘটনার পরেই পড়ুয়াদের নিরাপদে সরিয়ে কাছের একটি ভবনে আশ্রয় দেওয়া হয়। ঘটনার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে এক পড়ুয়া জানান, সেই সময় সকলের চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ শুনতে পাওয়া যাচ্ছিল।
এদিকে, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী উল্ফ ক্রিস্টারসন। তিনি ঘটনাটিকে সমগ্র সুইডেনের জন্য ‘অত্যন্ত বেদনাদায়ক দিন’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং এই ঘটনাকে ‘সুইডেনের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যা’ বলে জানিয়েছেন।
বিচারমন্ত্রী গুনার স্ট্রোমার এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ওরেব্রোতে হিংসার খবর খুবই গুরুতর। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং অভিযান পুরোদমে চলছে। সরকার পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে এবং নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।’