ট্রলারভর্তি ডলফিন। অন্তত ২২টি ডলফিনের দেহ ছিল ট্রলারে। আর সেই ট্রলারে ছিল ১০জন মৎস্যজীবী। গুজরাট বনদফতর তাদেরকে গ্রেফতার করেছে। পোরবন্দর ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিশন ও ভারতীয় উপকূলরক্ষীবাহিনী তামিলনাড়ুর ওই নৌকাকে আটক করে। আর সেই ট্রলার থেকে অন্তত ২২টি ডলফিনের দেহ মিলেছে। বুধবারের ঘটনা।
পোরবন্দরের ডেপুটি কনসার্ভেটর অফ ফরেস্ট অগ্নীশ্বর ব্যাস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমাদের কাছে খবর ছিল গুজরাটে উপকূলে ডলফিন ধরছে তামিলনাড়ুর একটি ট্রলার। এরপর ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে আমরা অভিযানে নামি। এরপর তারা ওই বোটে তল্লাশি চালান। সেখান থেকেই ২২টি ডলফিনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর সেগুলিকে বুধবার রাতে পোরবন্দর উপকূলে নিয়ে আসা হয়। ওই মৎস্যজীবীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে ডলফিনকে সাধারণত প্রোটেক্টেড স্পেসিস হিসাবে গণ্য় করা হয়। ডলফিন শিকার করলে তিন বছরের জেল অথবা ২৫০০০ টাকা জরিমানা হতে পারে।
পোরবন্দরের ডেপুটি কনসার্ভেটর অফ ফরেস্ট অগ্নীশ্বর ব্যাস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ধৃত মৎস্যজীবীরা জানিয়েছে, তারা সার্ক ধরার টোপ হিসাবে ব্যবহার করত ডলফিনগুলোকে। সেকারণেই তারা এগুলি ধরেছিল। তবে বুল সার্ক সংরক্ষণের তালিকাভুক্ত নয়। সেক্ষেত্রে তাদের দাবি যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
ধৃতদের মধ্য়ে পাঁচজন হল তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। দুজন অসমের বাসিন্দা। দুজনের কেরলের বাসিন্দা ও একজন ওড়িশার বাসিন্দা।
এদিকে দেখা যাচ্ছে ওই নৌকাটি কন্য়াকুমারী জেলায় নথিভুক্ত করা হয়েছিল। কোচি বন্দর থেকে তারা যাত্রা শুরু করেছিল। এদিকে শুধু ২২টি ডলফিনই নয়, চারটি বুল সার্কও পাওয়া গিয়েছে বোট থেকে। তবে বন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন অনেক সময় সমুদ্রে জাল ফেলার পরে সেই জালে ডলফিন জড়িয়ে যায়। কিছু ডলফিন মারাও যায়। কিন্তু এটা ঠিক তেমন ঘটনা নয়। এমনটাই প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। এটা হারপুন দিয়ে শিকার করা হয়েছে। সেকারণে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে বনদফতর জানিয়েছে, ২২টি ডলফিনের সবগুলিই পরিণত। কয়েকটি ডলফিনকে ইতিমধ্য়েই মাংস কেটে ফেলা হয়েছে। তাদের মাংসকে সার্কের টোপ হিসাবে সম্ভবত ব্যবহার করা হয়েছে। সবদিকগুলি খতিয়ে দেখছে বনদফতর।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup