গত বছর ৩১ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা AFP জানায় যে একটি রহস্যজনক ভাইরাল নিউমোনিয়ায় ২৭জন অসুস্থ হয়েছেন চিনের উহান শহরে। সেই থেকে শুরু। ধীরে ধীরে প্রথমে চিন, পরে এশিয়া ও শেষে সারা বিশ্বে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস।
মাত্র ৯৩ দিনে দশ লক্ষ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মারা গিয়েছেন ৫০ হাজার, ক্ষতিগ্রস্ত ২০৩টি দেশ। এখনও পর্যন্ত ২০০০০০ মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ভারতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রায় ২৫০০ আক্রান্ত, মৃত ৭২।
সারা বিশ্বের মধ্যে এই মূহূর্তে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মার্কিন মুলুকে। কেবল নিউ ইয়র্কে মারা গিয়েছেন ২২০০ জন। হিসাব অনুযায়ী আমেরিকায় ২.৪ লক্ষ মানুষ করোনায় মারা যেতে পারেন। এখনও পর্যন্ত ইতালিতে মারা গিয়েছেন ১৩০০০। স্পেন, ইউকে, ফ্রান্স, জার্মানি মিলিয়ে ২০,০০০ মারা গিয়েছেন।
চিনে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হচ্ছে। সরকারিভাবে চিনে মারা গিয়েছেন ৩৩০০ জন।
করোনার জেরে বেহাল সারা বিশ্বের স্টক মার্কেট। বাদ নেই ভারতও। বিএসইতে লগ্নিকারীরা মার্চে হারিয়েছেন প্রায় ৩৩ লক্ষ কোটি টাকা।
ভারতে সোশ্যাল ডিস্টেন্সিংয়ের জন্য বর্তমানে ২১ দিনের লকডাউন চলেছে। এরপরেও ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রীদের ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনার প্রতিষেধক মিলতে এখনও এক থেকে দেড় বছর বাকি। সারা বিশ্বে বৈজ্ঞানিকরা সেই নিয়ে কাজ চালাচ্ছেন। কতদিন চলবে এই মহামারি, এটি আবার ফিরে আসে কিনা, মিউটেট করে কিনা, এরকম অনেক প্রশ্নের উত্তর নেই। ২০২০তে বিশ্বকে গভীর সঙ্কটে ফেলে দিয়েছে করোনাভাইরাস। কীভাবে মানব জাতি সেটির বিরুদ্ধে মোকাবিলা করে, সেটাই দেখার।