মেক্সিকোর সান্তিয়াগো দে কেরেতারো শহরের একটি পানশালায় হামলা চালাল বন্দুকধারী দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন ১০ জন। শনিবার গভীর রাতে এই হামলা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় শহরের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ এবং ৩ জন মহিলা। এছাড়াও ৭ জন জখম হয়েছেন।
আরও পড়ুন: 'আমরা সবাই…' বাড়ির বাইরে গুলি, বন্দুকবাজের হামলার পর ভক্তদের কী বললেন এপি ধিলন?
রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল এবং শহরের নিরাপত্তা প্রধান জানান, চারজন বন্দুকধারী দুষ্কৃতী ওই বারে ঢুকে হামলা চালায়। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, একটি পিক আপ ভ্যানে করে দুষ্কৃতীরা সেখানে আসে এবং গুলিবর্ষণ করে। ঘটনায় বারে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। বারে থাকা মানুষজন চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন। রক্তাক্ত অবস্থায় একের পর এক মাটিতে লুটিয়ে পড়েন অনেকে। এরপর সেখান থেকে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত একটি গাড়ির দিকেও নজর রেখেছে।
সাধারণত মেক্সিকোর কেরেতারোয় অন্যান্য এলাকার মতো প্রচুর হিংসার ঘটনা সেরকমভাবে ঘটে না। সেই দিক দিয়ে এটি অন্যান্য অনেক এলাকার তুলনায় তুলনামূলকভাবে নিরাপদ বলে মনে করা হয়। কেরেতারোর গভর্নর মাউরিসিও কুরি এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, ‘আমি কেরেতারোর জনগণকে আশ্বাস দিচ্ছি যে এই নৃশংস কাজের জন্য দায়ীদের শাস্তি হবে। আমরা আমাদের সীমানা সিল করে রাখব। আমাদের রাজ্যের নিরাপত্তা বজায় রাখব।’ জানা গিয়েছে, ঘটনায় পুলিশ হামলাকারীদের গাড়িটি উদ্ধার করেছে । সেটিতে পালিয়ে যাওয়ার আগে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। রাস্তায় ধারে পরিত্যক্ত অবস্থায় গাড়িটি পড়েছিল।
প্রসঙ্গত, মেক্সিকোয় অপরাধ এবং মাদক সংক্রান্ত অপরাধ বেড়ে চলেছে। এর মোকাবেলা করাটাই এখন মেক্সিকোর নতুন রাষ্ট্রপতি ক্লডিয়া শিনবাউমের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে একটি।
দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ১ অক্টোবরের পর থেকে গোটা দেশে এখনও পর্যন্ত ২৭৮৮টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নয়া রাষ্ট্রপতি হিংসাত্মক অপরাধ দমনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং নিরাপত্তা প্রকল্প চালু করেছেন। যার লক্ষ্য হল তরুণদের কাজের সুযোগ বাড়ানো। এতে তরুণদের বিপথে চালিত হওয়ার প্রবণতা কমবে। সরকারের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য আদানপ্রদান করা এবং দেশের ন্যাশনাল গার্ডকে আরও শক্তিশালী করা।