বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > এপ্রিলের ঢেউয়ে দ্বিতীয়বার কোভিড আক্রান্ত ১০ শতাংশ! সামনে এল সমীক্ষার পরিসংখ্যান

এপ্রিলের ঢেউয়ে দ্বিতীয়বার কোভিড আক্রান্ত ১০ শতাংশ! সামনে এল সমীক্ষার পরিসংখ্যান

ফাইল ছবি : পিটিআই  (PTI)

ইনস্টিটিউট অফ ডেনোমিকস অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজির এক সমীক্ষায় এই তথ্য সামনে এসেছে। যাতে বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

একবার কোভিড আক্রান্ত হয়ে ফের করোনার কবলে পড়তে হয়েছে দিল্লির ১০ শতাংশ মানুষকে। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের এই পরিসংখ্যান সামনে এল এবার। ইনস্টিটিউট অফ ডেনোমিকস অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজির এক সমীক্ষায় এই তথ্য সামনে এসেছে। যাতে বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

সব মিলিয়ে ১০টি এলাকার সর্বমোট ১০০০ জন রোগীর উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। তা থেকেই উঠে এসেছে এই তথ্য। এই রোগীদের মধ্যে অ্যান্টিবডি কমতে দেখা গেলেও এপ্রিলের ঢেউ চলাকালীন তাঁদের দেহে অ্যান্টিবডি ফের বাড়তে থাকে। যা থেকে অনুমান করা হয় যে এই রোগীরা কভিডে আক্রান্ত হন।

এই বিষয়ে ইনস্টিটিউট অফ ডেনোমিকস অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজির ডিরেক্টর ডঃ অনুরাগ আগরওয়াল বলেন, 'আমরা আমাদের সমীক্ষায় দেখতে পাই যে ১০ শতাংশেরও বেশি মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি লেভেল প্রথমে কমতে দেখা গেলেও সম্প্রতি তা বেড়ে যায়। আমরা সমীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছি। এই অনুপাত আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।'

উল্লেখ্য, দিল্লিতে এটি করোনা সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। আ রজুন মাসের সমীক্ষায় দেখা যায় অংশগ্রহণকারীদের ৮০ শতাংশের শরীরেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। এদিকে এর আগে আইসিএমআর-এর তরফে দাবি করা হয়েছিল দেশে দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত হওয়ার হার ৪.৫ থেকে ৫ শতাংশ। তবে সেই গড় থেকে দিল্লির গড় অনেকটা বেশি। অন্তত এই সমীক্ষাতে সেরকমই তথ্য উঠে আসছে।

ডঃ অনুরাগ আগরওয়াল বলেন, 'আমার মনে হয়, কেই করোনা সংক্রমিত হয়েছেন কি না তা জানতে শ্রেষ্ঠ উপায় হল অ্যান্টিবি পরীক্ষা করানো। অনেক ক্ষেত্রে হালকা উপসর্গ থাকলে টেস্ট করান না অনেকে। আবার অনেক ক্ষেত্রে পরীক্ষাতেও সংক্রমণ ধরা পড়ছে না আজকাল। তাই জেনোমিক সিকুয়েন্সিংয়ের দ্বারা যদি আমাদের এটা বুঝতে হয় যে কতজন দ্বিতীয়বার করোনা সংক্রমিত হয়েছেন, তাহলে অ্যান্টিবডি টেস্টের বিকল্প নেই।'

 

বন্ধ করুন