কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার সঙ্গে বঞ্চনা করে। এনিয়ে বার বারই নানা অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। তবে এবার সেই বঞ্চনা তো দূরের কথা পশ্চিমবঙ্গের জন্য় বিরাট বিনিয়োগে সবুজ সংকেত দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলায় উচ্চগতি সম্পন্ন সড়ক নির্মাণ করা হবে। এজন্য় বরাদ্দ করা হবে ১০,২৪৭ কোটি টাকা। প্রায় ২৩১ কিমি জুড়ে এই রাস্তা তৈরি করা হবে। খড়্গপুর থেকে মোড়গ্রাম পর্যন্ত এই রাস্তা হবে। ফোরলেনের রাস্তা হবে।এই বৈঠক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে হয়। আর সেই বৈঠকে বাংলার জন্য় বিরাট প্রকল্পের অনুমোদন করা হয়েছে।
আর ঝা চকচকে রাস্তা মানেই আরও গতি বাড়বে। আর রাস্তা মানেই যোগাযোগও বাড়বে। সেই সঙ্গেই শিল্প বিকাশের পথও সুগম হবে। সব মিলিয়ে বাংলার জন্য পুজোর আগেই বিরাট উপহার মোদী সরকারের।
এদিকে এই উচ্চগতির রাস্তায় যাতায়াতের সময়ও অনেকটাই কমে যাবে। এই ফোরলেনের রাস্তাটি বিশেষ পদ্ধতি মেনে করা হবে। এদিকে বর্তমানে এই রাস্তাটি দুটি লেন বিশিষ্ট রয়েছে। আর ফোর লেনের রাস্তা তৈরি হলে এখানে গাড়ির সংখ্যাও অনেকটাই বাড়বে। সব মিলিয়ে সুবিধা হবে সাধারণ মানুষের। গাড়ির গতিও ক্রমশই বাড়তে থাকবে। এই সড়কপথ তৈরি হলে বাংলার সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার যোগাযোগও বাড়তে পারে।
এই রাস্তায় সুবিধা কী হতে পারে?
কেন্দ্রের দাবি মূলত এই রাস্তায় গাড়ির গতি বাড়বে। এর জেরে কম সময়ে পণ্য পরিবহণ করা যাবে। এর জেরে সময় বাঁচবে। সেই সঙ্গেই তেল খরচও কিছুটা বাঁচতে পারে। সব মিলিয়ে সময় ও জ্বালানি উভয়েরই সাশ্রয় হবে। এখন এই রাস্তায় যেতে অন্তত ১০ ঘণ্টা সময় লাগে। নতুন রাস্তা তৈরি হলে যাতায়াতের সময় তিন ঘণ্টা থেকে পাঁচ ঘণ্টা সময় কমে যেতে পারে।
তবে শুধু বাংলার ক্ষেত্রে নয়, দেশের একাধিক রাস্তারই উন্নতিকরণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে দেশ জুড়ে আটটি এই ধরনের উচ্চগতিতে গাড়ি চালানো যাবে এমন রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে বাংলায় মোড়গ্রাম থেকে খড়্গপুর পর্যন্ত রাস্তাও রয়েছে। আগ্রা থেকে গোয়ালিয়র ছয় লেনের করিডর, গুজরাটের থারাড় থেকে আমেদাবাদ ছয় লেনের করিডর, চার লেনের অযোধ্য়া রিং রোড, চার লেনের রায়পুর-রাঁচি করিডোর, ছয় লেনের কানপুর রিং রোড, চারলেনের গুয়াহাটি বাইপাস ও আট লেনের নাসিক খেড় রাস্তা তৈরি করা হবে।