ত্রিপুরায় টিকাকরণ জোর কদমে শুরু হয়েছে। সরকারি উদ্যোগী ত্রিপুরার দুটি গ্রামে ১০০ শতাংশ টিককরণ হয়ে গিয়েছে। ওই দুই গ্রামে আর কারোরই টিকা নেওয়া বাকি নেই। দুটি গ্রামে ১০০ শতাংশ টিকাকরণের কথা নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ত্রিপুরার মঙ্গলখালি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পূর্ণা গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রত্যেক বাসিন্দাকে টিকাকরণের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। টুইটে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ত্রিপুরায় যত বেশি সংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। উত্তর ত্রিপুরা জেলায় যুবরাজনগর গ্রামের মঙ্গলখালি গ্রাম পঞ্চায়েতে কেউ টিকা পেতে বাকি নেই। আগামিদিনে গোটা ত্রিপুরাকে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করছে সরকার। খুব তাড়াতাড়ি গোটা ত্রিপুরার মানুষ টিকাপ্রাপ্ত হবেন।
গত সোমবার দু'দিনের জন্য বিশেষ টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। রাজ্য জুড়ে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের টিকা দেওয়ার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ১,৩৪২টি ক্যাম্প করে টিকা দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার আইএনএ হাউস থেকে ১৮-র ঊর্ধ্বে বিনামূল্যে টিকা প্রদান প্রক্রিয়ার সূচনা করেছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। ফেসবুকে মোদীর প্রশংসা করে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘নিন্দুকেরা যাঁরা কোভিডের দ্বিতীয় ভ্যাকসিন নিয়ে সমালোচনা করতেন, তাঁরাই এখন টিকা নেওয়ার জন্য সবার আগে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, করোনার প্রথম পর্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৩০ কোটি মানুষকে রক্ষা করার জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন। তখন অনেকে সমালোচনা করেছিলেন। সবাই বসে থাকলেও প্রধানমন্ত্রী বসে ছিলেন না। তাঁর ফল এখন চাক্ষুষ করা যাচ্ছে।