মুদিখানার দোকান থেকে শুকনো খাবার চুরির সন্দেহ। আর তার জেরেই দশ বছরের ছেলেকে বেঁধে রেখে বেধড়ক মার। এক সপ্তাহ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেষমেশ মঙ্গলবার প্রাণ হারাল ছেলেটি। ঘটনাটি কর্ণাটকের হাভেরি জেলার উপ্পানাশীর।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১৬ মার্চ একটি মুদিখানার দোকানে ছেলেটিকে বাড়ির জন্য কিছু জিনিস কিনতে পাঠায় তার বাবা। সেই সময়েই ছেলেটি খাবার জিনিস চুরি করছে বলে সন্দেহ হয় দোকান মালিকের। সঙ্গে সঙ্গে ছেলেটিকে ধরে আনে দোকান মালিক। এরপর দোকান মালিক এবং আরও তিনজন মিলে বেধড়ক মারতে শুরু করে ছেলেটিকে। রীতিমতো দড়ি দিয়ে বেঁধে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে মারধর।
এদিকে দুই ঘণ্টা পরেও ছেলে দোকান থেকে ফিরছে না দেখে চিন্তায় পড়েন মা-বাবা। পরে খবর পেয়ে ছুটে আসে ছেলেটির মা। বহু অনুরোধের পর ছেলেটিকে ছাড়া হয়। ততক্ষণে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে সে। স্থানীয়দের উদ্যোগে তাকে জেলারই একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে কেম্পেগৌড়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেসে রেফার করা হয়। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর মঙ্গলবার প্রাণ হারায় ছেলেটি।
দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। চিকিৎসকের কথায়, 'মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের জেরেই মৃত্যু। তার সঙ্গে ভীষণ জ্বর ছিল ছেলেটির।' মৃত্যুর আগে হাসপাতালের বেডে শুয়েই দোকান মালিক এবং তার মা, কাকা ও দাদুর বিরুদ্ধে ভিডিয়োয় জবানবন্দি দিয়েছে ছেলেটি। মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।