বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > রাজস্থানে পাক হিন্দু শরণার্থী পরিবারের ১১ জনের মৃত্যু, একই ঘর থেকে উদ্ধার সকলের দেহ

রাজস্থানে পাক হিন্দু শরণার্থী পরিবারের ১১ জনের মৃত্যু, একই ঘর থেকে উদ্ধার সকলের দেহ

এখান থেকে উদ্ধার হয়েছে ১১ জনের দেহ (ছবি সৌজন্য পিটিআই)

২০১৫ সালে তাঁরা পাকিস্তান থেকে যোধপুরে এসেছিলেন।

পাকিস্তান থেকে আগত শরণার্থী পরিবারের ১১ জন সদস্যের দেহ উদ্ধার হল রাজস্থানের যোধপুরে।  ২০১৫ সালে এদেশে আসা ওই পরিবারের সদস্যরা গতরাতে লোদাতা আলাভাতা গ্রামের একটি কুঁড়েঘরে শুয়েছিলেন। একজন বাড়ির বাইরে ছিলেন। তিনি জীবিত রয়েছেন।

যোধপুর গ্রামীণের পুলিশ সুপার রাহুল বারহাত জানিয়েছেন, রবিবার সকাল ১০ টা নাগাদ কেওয়ালরাম (৩৫) নামে পরিবারের সদস্য পুলিশে খবর দেন। তিনি জানান, সকালে ঘরের মধ্যে ঢুকে দেখেন পরিবারের বাকি সদস্যরা ঘুমোচ্ছেন এবং তাঁরা কোনওরকম নড়াচড়া করছেন না। তা দেখে আত্মীয়দের খবর দেন কেওয়ালরাম। ১১ জনেরই মৃত্যু হয়েছে বুঝতে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ সুপার ও যোধপুরের জেলাশাসক ইন্দ্রজিৎ সিং-সহ উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তারা। তদন্তে যায় ডগ স্কোয়াড এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের দল। মৃতেরা হলেন - লক্ষ্মী (৪০), বুধারাম (৭৫), অন্তরা দেবী (৭০), রবি (৩৫), জিয়া (২৫), দয়াল (১১), সুমন (২২), দানিশ (১০), দিয়া (৫), নয়ন (১২) এবং মুকদাশ (১৭)। তাঁরা ভীল সম্প্রদায়ের মানুষ। পুলিশ সুপার জানান, দীর্ঘকালীন ভিসায় তাঁরা থাকছিলেন। স্থানীয় একজনের থেকে লিজে জমি নিয়ে চাষ করতেন। যোধপুরে তাঁদের অনেক আত্মীয় আছেন।

তবে কীভাবে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, 'প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, মৃতেরা ইঁদুরের বিষ খেয়েছেন। কারণ মেঝেতে ইঁদুরের বিষের (কৌটো) পাওয়া গিয়েছে। তবে গতরাতে খাবারে কেউ বিষ মিশিয়ে দিয়েছেন, সেই সম্ভাবনাও আছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পুলিশি তদন্তকে বিভ্রান্ত করতেও সুইসাইড নোট রাখা হতে পারে। মৃতদের দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি।'

তবে পরিবারের সবাই ঘরে মারা গেলেন এবং বাইরে থেকেও কেওয়ালরাম কোনও কিছু টের পেলেন না কেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তারইমধ্যে নাম গোপন রাখার শর্তে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, কেওয়ালরাম এবং তাঁর স্ত্রী'র সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না। সেদিকটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

বন্ধ করুন