শনিবার ছিল বিশ্ব শিশু দিবস। আর সেই দিনেই পাকিস্তানে মর্মান্তিক পরিণতি হল ১১ বছর বয়সী এক সংখ্যালঘু হিন্দু শিশুর। এক মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, শনিবার পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে ১১ বছর বয়সী এক হিন্দু ছেলেকে যৌন নির্যাতন ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় ছেলেটি নিখোঁজ হয় এবং শনিবার তার লাশটি সিন্ধু প্রদেশের খায়রপুর মির এলাকার বাবরলোই শহরের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে পাওয়া যায়।
শিশুটির আত্মীয় রাজ কুমারকে উদ্ধৃত করে ঘটনা প্রসঙ্গে দ্য এক্স প্রেস ট্রিবিউন পত্রিকা লেখে, 'পুরো পরিবার গুরু নানকের জন্মদিনের অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত ছিল। আমরা জানি না কীভাবে শিশুটি নিখোঁজ হয়েছে। গতকাল রাত ১১ টায় তাকে ওই বাড়িটিতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।' মৃতের আত্মীয় সংবাদপত্রটিকে আরও বলেন, 'সে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র ছিল, এবং ২০১১ সালে তার জন্ম হয়েছিল।' তিনি জানান, এই ভয়াবহ ঘটনার পর পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
বাবরলোই থানার স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) জানান, অপরাধীরা শিশুটিকে যৌন নির্যাতন করা হয়। পরে ছেলেটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল। এসএইচও বলেন, 'আমরা দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছি, যাদের মধ্যে একজন অপরাধ স্বীকার করেছে।'
সুক্কুরের শিশু সুরক্ষা কর্তৃপক্ষের তরফে জুবায়ের মাহার জানান, নাবালকের শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। তিনি বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে প্রদেশে এই ধরনের দ্বিতীয় ঘটনা এটি। তিনি বলেন, 'কয়েকদিন আগেই, সুক্কুর জেলার সালেহ পাটের হিন্দু সম্প্রদায়ের এক নাবালিকা নিখোঁজ হয়। পুলিশ তার পুনরুদ্ধারের জন্য ২.৫ মিলিয়ন রুপি পুরস্কারও ঘোষণা করে। কিন্তু লাভ হয়নি।'