বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্প সত্ত্বেও কমছে না VRS গ্রহণকারী জওয়ানদের সংখ্যা। পারিবারিক কারণ, স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত সমস্যা, শিশু, মা-বাবা বা স্ত্রীকে সাহায্যের প্রয়োজন বলে উল্লেখ করে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন বহু জওয়ান। আধাসামরিক বাহিনীর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ভিআরএস গ্রহণ করেন বিএসএফ জওয়ানরা।
এর প্রধান কারণ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডিউটি। ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত ১১,৬০০-রও বেশি বিএসএফ জওয়ান ভিআরএস নেন। প্রতি বছর গড়ে সাড়ে ৩ হাজার সীমান্তরক্ষী জওয়ান স্বেচ্ছাবসর গ্রহণ করেন।
সিআরপিএফ-এ বছরে প্রায় এক হাজার থেকে দেড় হাজার জওয়ান ভিআরএস নেন। এই সংখ্যা ২০২০ সালে সামান্য হ্রাস পেয়েছিল। গত বছর ৬৫৪ জন সিআরপিএফ জওয়ান স্বেচ্ছাবসর নেন।
স্বেচ্ছাবসরের আগে কাউন্সেলিং
প্রতিরক্ষা বাহিনীর উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা জানান, অবসর গ্রহণে ইচ্ছুক জওয়ানদের সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করা হয়। তাঁদের কী সমস্যা, কীভাবে সমাধান হবে, ইত্যাদি পরামর্শ দেওয়া হয়। কথা বলেন তাঁদের সিনিয়ররা। এর পরেও, যদি জওয়ানরা চাকরি রাখতে অনীহা প্রকাশ করেন, তবেই তাঁদের ভিআরএস অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
ছুটি এবং থাকার ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ
আধিকারিকরা জানান, স্বেচ্ছাবসরের প্রবণতা কমাতে আগের তুলনায় অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। যেখানে সম্ভব, সেখানে জওয়ানদের থাকার জন্য আবাসন দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি স্বামী-স্ত্রী উভয়েই বাহিনীতে থাকলে তাঁদের একই স্থানে নিয়োগ করার অপশন দেওয়া হয়। আগের তুলনায় বেশি ছুটি ও অন্যান্য অনেক সুযোগ-সুবিধাও দেওয়া হচ্ছে।
তবে তাঁরা জানিয়েছেন, এখনও ছুটি ও থাকার ব্যবস্থা নিয়ে সেনারা অভিযোগ করেন। তাছাড়া একটা বয়সের পর শ্রমসাধ্য কাজ করার বলও কমে যায়। বাড়িতে স্ত্রী-সন্তানকে সময় দেওয়ারও প্রয়োজন বোধ হয়। তাই বাড়ি ফিরে অন্য পেশায় নিয়োজিত হওয়ার পরিকল্পনা করেন বহু জওয়ান।