মধ্যপ্রদেশে একের পর এক বন্যপ্রাণীর মৃত্যু রেলের ধাক্কায়। গোটা ঘটনায় শোরগোল বিভিন্ন মহলে। কিন্তু মধ্যপ্রদেশ বনদফতরের দাবি, প্যানট্রি কার থেকে রেললাইনের উপর ফেলে দেওয়া খাবার খেতে এসেছিল ওরা । তখনই রতনপানি ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি এলাকার একের পর এক বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়। বনদফতরের দাবি, সাধারণত রেললাইনের মধ্যে প্যানট্রি কারের কর্মীরা বেঁচে যাওয়া খাবার ফেলে দেন। সেগুলিই খেতে আসত বন্যপ্রাণীরা। ‘এদিকে করোনাকালে রেলের লোকজন স্থানীয় জঙ্গলে ফুড প্যাকেট ফেলেন বানরদের খাওয়ার জন্য। এদিকে সেই খাবারের লোভে বানরের পাশাপাশি তৃণভোজীরাও রেললাইনের উপর উঠে আসে। চিতা ও বাঘেরাও শিকারের লোভে চলে আসে রেললাইনের উপর। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা।’ জানিয়েছেন রতনপানি ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারির ফিল্ড ডিরেক্টর প্রদীপ ত্রিপাঠি।
তবে এর অন্য একটি কারণও রয়েছে বলে বনদফতর মনে করছে। স্থানীয় এলাকায় একটি জলাশয় রয়েছে। সেখানেও জল খেতে আসে প্রাণীরা। সেক্ষেত্রেও ট্রেনের ধাক্কায় তাদের মৃত্যু হতে পারে। ট্রেনের ধাক্কায় অন্তত পাঁচটি বাঘ ও সাতটি লেপার্ড মিলিয়ে বিগ ক্যাট পরিবারের ১২টি জন্তু ও প্রায় ৯০টি বানরের মৃত্য়ু হয়েছে গত ৫ বছরে। এবছরও একটি লেপার্ড ও একটি বাঘের মৃত্যু হয়েছে রেললাইনে। প্রিন্সিপাল চিফ কনসার্ভের অফ ফরেস্ট অলোক কুমার বলেন, ‘বেঁচে যাওয়া খাবার রেললাইনে ফেলার জন্যই রেলের ধাক্কায় বন্য প্রাণের মৃত্যু হচ্ছে। রেলকে এনিয়ে বার বার চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা কথা কানে নিচ্ছে না। রাতের দিকে নজরদারির জন্য বলা হয়েছিল যাতে প্যানট্রি কার থেকে এই ধরনের খাবার ফেলা না হয়। কিন্তু সেই নজরদারি দু তিনদিনের বেশি হয় না।’ এদিকে ভূপাল ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার উদয় বরওয়াঙ্কার বলেন, ‘বেঁচে যাওয়া খাবার ফেলার নিয়ম রয়েছে। রেলের ধাক্কায় বাঘের মৃত্য হয়েছে এটা মানছি। কিন্তু সেটা ট্র্যাকের ডিজাইনের জন্য হয়েছে। ’