বাদল অধিবেশনের প্রথমদিনেই তুমুল হট্টগোল হল মহারাষ্ট্র বিধানসভায়। বিজেপির ১২ জন বিধায়ককে এক বছরের জন্য সাসপেন্ড করে দেওয়া হল। শাসক জোটের দাবি, প্রিসাইডিং অফিসার ভাস্কর যাদবের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা এবং তাঁকে গালিগালাজ দেওয়ার জন্য বিরোধী দলের বিধায়কদের শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে।
স্থানীয় নির্বাচনে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির রাজনৈতিক সংরক্ষণের জন্য কেন্দ্রের থেকে তথ্য চাওয়া নিয়ে যে প্রস্তাবনা পাশ করা হয়, তা নিয়ে শাসক এবং বিরোধীদের মধ্যে তরজার সূত্রপাত। খাদ্যমন্ত্রী ছাগন ভুজবল অভিযোগ করেন, দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের সরকার সেই তথ্য আদায় করে নিতে ব্যর্থ হয়েছে। যদিও বিজেপি দাবি, সেই প্রস্তাবনায় আদৌও কোনও কাজ হবে না। প্রস্তাবনা পাশের সময় কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক অধ্যক্ষের আসনের কাছে পৌঁছে যান। মাইক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। সেই সময় অধ্যক্ষের আসনে ছিলেন ভাস্কর। পরে বিজেপি বিধায়করা ডেপুটি স্পিকারের ঘরে ভাস্করকে গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। তিনি বলেন, 'বিধানসভায় আমার ৩৬ বছরের জীবনে কখনও এরকম আচরণ দেখিনি। বিধায়করা কখনও কক্ষের বাইরে মতবিরোধ নিয়ে যান না। আমি দেবেন্দ্র ফড়ণবীসকে শান্ত হতে বলি। ঘরে যাঁরা হাজির ছিলেন, তাঁরাও বিধায়কদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু উনি কিছু করেননি।'
পরিষদীয় মন্ত্রী অনিল পরব সেই সাসপেন্ডের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। যা ধ্বনি ভোটে পাশ করিয়ে নেয় মহারাষ্ট্রের শাসক দল। যে বিধায়কদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁরা হলেন - আশিস শেলার, গিরিশ মহাজন, যোগেশ সাগর, অতুল ভাচকালকর, পরাগ আলাবানি, সঞ্জয় কুটে, হরিশ পিম্পল, রাম সাতপুতে, জয়কুমার গোরে, বান্টি বাঙ্গাদিয়া, অভিমন্যু পাওয়ার এবং নারায়ণ কুচে।
যদিও মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা মহারাষ্ট্রের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ফড়ণবীস অভিযোগ করেন, বিধানসভায় বিজেপির সংখ্যা কমানোর জন্য বিধায়কদের সাসপেন্ড করে দিয়েছে। তিনি অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছেন, প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে আপত্তিকর শব্দ প্রয়োগ করেছেন বিধায়করা। সেইসঙ্গে তাঁদের ব্যবহারের জন্য প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। সাসপেন্ড হওয়ার ঘটনার বিরুদ্ধে রাজ্যপাল ভগৎ সিং কেশিয়ারির কাছেও যান বিজেপি বিধায়করা। সেখানে নালিশ জানিয়ে এসেছেন।