মাঝপথে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়েছে জীবন। এই দাবি করে মেডিক্যালের ১২ শিক্ষার্থী রাষ্ট্রপতির কাছে ইচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানালেন। ছাত্ররা অভিযোগ করেন, মেডিক্যাল কলেজ ম্যানেজমেন্টের এমসিআই-এর স্বীকৃতি বাতিলের হয়ে যায়। তা সত্ত্বেও কলেজ তাদেরকে বিপথগামী করে শিক্ষা দিতে থাকে। এই আবহে এখন তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে।
সিটি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে যে ২০১৬ সালে NEET-এর যোগ্যতা অর্জনের পরে ৬৬ জন ছাত্র সাহারানপুরের গ্লোকাল মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস-এর কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন। শিক্ষার্থীদের দাবি, ভর্তির আগে শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিংও করা হয়েছিল। তিন মাস পরে এমসিআই স্বীকৃতি বাতিল করে। কিন্তু তা শিক্ষার্থীদের না জানিয়ে কলেজ প্রশাসন পাঁচ বছর ধরে পড়াশোনা চালিয়ে যায়।
এই সমস্যা নিয়ে শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষ ও সরকারের কাছে ঘোরাঘুরি করলেও কোনও সুরাহা পাননি তাঁরা। ৬৬ জনের মধ্যে ১২ জন ছাত্রের ইচ্ছামৃত্যুর আবেনদন জানিয়েছেন এবং কালেক্টরেটের সিটি ম্যাজিস্ট্রেট বিবেক চতুর্বেদীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। ইথানেশিয়ার দাবি জানানো পড়ুয়ারা হলেন শিবম শর্মা, বিভোর, শিবানী রানা, রিজওয়ান, সাদাফ, সামিয়া, ভিগনেশ, রাহুল রাজ, ঐশ্বরিয়া, অরবিন্দ রাজ প্রমুখ।
এদিকে গ্লোকাল ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর আকিল আহমেদ এই প্রসঙ্গে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এখনও শিক্ষার্থীদের পড়াতে চায়। সবকিছু ঠিকঠাক চললেও এসব শিক্ষার্থীদের অভিযোগে মেডিক্যাল কলেজের এনওসি বাতিল করা হয়। পরে আদালতে যান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেখানে তাঁদের রিট খারিজ হয়ে যায়। এ নিয়ে আরও একটি রিট আবেদন করা হয়। সেটিও বাতিল করা হয়েছে। আপাতত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।