ছত্তিশগড়ের বস্তার এলাকায় মাওবাদীদের সবচেয়ে পোক্ত ডেরা হিসাবে পরিচিত বিজাপুর। সেই বিজাপুরেই এদিন মাওবাদী ও নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াইতে ১২ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। উল্লেখ্য, এই বিজাপুরে কিছুদিন আগে, মাওবাদীদের হানায় বিস্ফোরণ ঘটে সিআরপিএফের কনভয়ে। শহিদ হন ৮ জওয়ান ও ১ চালকের মৃত্যু হয়। সদ্য সেখানে আরও এক আইইডি বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন ২ জওয়ান। এর মাঝে খবর এল এই গুলির লড়াইয়ের। যেখানে ১২ মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
জানা যাচ্ছে, সিআরপিএফের অভিযানে যে মাওবাদীদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে,'মাওইস্ট পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি'র ব্যাটালিয়ান ১ এর সদস্যরা। মাওবাদীদের সেন্ট্রাল রিজিওনাল কমিটির সদস্যরাও মৃতদের মধ্যে রয়েছে বলে খবর। এদিকে, বস্তারের আইজি পি সুন্দররাজ জানিয়েছেন, যে ১২ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে তাদের মধ্যে, ৫ জন মহিলা। জানা যাচ্ছেস গত ১৬ জানুয়ারি মাওবাদী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে রাত ৯ টা নাগাদ গুলির যুদ্ধ শুরু হয়। সেই এনকাউন্টারের পরই এই ১২ মাওবাদীর মৃত্যুর খবর আসে। সুন্দররাজ জানান, সূত্র মারফৎ মাওবাদীদের গতিবিধির খবর পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনী নামে অভিযানে। এনকাউন্টারে ৭ পুুরুষ ও ৫ জন মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে। সুন্দররাজ জানিয়েছেন, ‘ এনকাউন্টারের মাঝে মাওবাদীরা বাধ্য হয়েছে গাড়িতে পালাতে। ফলে বোঝা যাচ্ছে তাদের ভিত দুর্বল হচ্ছে। তারা অনেকটাই শক্তি হারিয়েছে।’ তিনি জানিয়েছেন বিপুল সংখ্যক অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে।
এর আগে, সদ্য আরও একটি মাওবাদী হানায় ২ জওয়ান আহত হন। সেটিও বিজাপুরে। সেই জওয়ানরা বিপন্মুক্ত বলে খবর। তাঁরা ভালো আছেন বলেও জানা গিয়েছে। ছত্তিশগড়ের উপমুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ওই জওয়ানদের মধ্যে একজন লাদাখের অপরজন ছত্তিশগড়ের। একজনের চোট রয়েছে পায়ে, অপরজনের চোট রয়েছে চোখে। তাঁদের সার্জারি সফল হয়েছে বলেও জানানো হয়।
এদিকে, সদ্য যে অভিযানে মাওবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াই চলেছে, সেটিতে সিআরপিএফের তরফে ছিল কোবরা বাহিনী, ছিল সিআরপিএফের ২২৯ ব্যাটালিয়ান। সঙ্গে ছিল তিন জেলার ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড।