রাজ্যসভার ১২ সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল। শীতকালীন অধিবেশনের বাকি দিনগুলির জন্য এরা সাসপেন্ডেড থাকবেন। সংসদের অধিবেশন শুরুর আগেই প্রধানমন্ত্রী আবেদন করেছিলেন যাতে শান্তিতে এই অধিবেশনের কাজ চলে। তবে প্রধানমন্ত্রীর সেই আবেদনের তোয়াক্কা না করেই বিরোধীরা প্রথম দিন থেকেই হট্টগোল শুরু করেন সংসদে। এদিন লোকসভাতে বিরোধীদের হট্টগোলের মাঝেই পাশ হয় কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। এরপর রাজ্যসভাতেও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে গত বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে সংসদে হট্টগোলের জেরে ১২ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল।
বর্তমান অধিবেশনের অবশিষ্ট দিনের জন্য নিলম্বিত সাংসদরা হলেন - এলমারাম করিম (সিপিএম), কংগ্রেসের ফুলো দেবী নেতাম, ছায়া ভর্মা, আর বোরা, রাজামণি প্যাটেল, সৈয়দ নাসির হুসেন, অখিলেশ প্রসাদ সিং, বিনয় বিশ্বম (সিপিআই), তৃণমূলের দোলা সেন ও শান্তা ছেত্রীৃ এবং শিবসেনার প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী এবং অনিল দেশাই।
এদিকে সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী দাবি করেন, তাঁদের পক্ষের যুক্তি না শুনেই একতরফা ভাবে সাংসসদদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়য়েছে। তিনি বলেন, ‘জেলা আদালত থেকে সুপ্রিম কোর্ট, সব জায়গাতেই একজন আসামির শুনানি হয়। তাদের জন্য আইনজীবীও সরবরাহ করা হয। কখনও কখনও সরকারী কর্মকর্তাদের আসামিদের শুনতে পাঠানো হয়। এখানে আমাদের বক্তব্যও শোনা হয়নি।’
সাসপেন্ড হওয়া কংগ্রেস সাংসদ ছায়া ভর্মা বলেন, ‘এই সাসপেনশনের নির্দেশ খুব অন্যায্য। সেখানে অন্য দলের সদস্যরা হট্টগোল করলেও চেয়ারম্যান আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করলেন। নৃশংস সংখ্যাগরিষ্ঠতা ভোগ করার কারণে প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর ইচ্ছামতই করছেন।’