করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা কী হবে? তা নিয়ে দু'দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টে একথাই জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেনুগোপাল।
সোমবার বিচারপতি এ এম খানউইলকরের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, কেন্দ্র যদি বোর্ড পরীক্ষা আয়োজনের ক্ষেত্রে গতবারের নীতি থেকে সরে যায়, তাহলে অতি অবশ্যই ‘স্পষ্ট কারণ’ দর্শাতে হবে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গত বছর মাঝপথেই স্থগিত হয়ে গিয়েছিল একাধিক পরীক্ষা। পরে তা বাতিল হয়ে যায়। অ্যাটর্নি জেনারেলকে শীর্ষ আদালত বলেছে, ‘কোনও সমস্যা নেই। আপনারা সিদ্ধান্ত নিন। আপনাদের সেটার অধিকার আছে। গত বছরের নীতি থেকে সরে আসেন, তাহলে আপনাদের অবশ্যই স্পষ্ট কারণ দিতে হবে।’ সঙ্গে যোগ করেছে, ‘যদি আপনারা গত বছরের নীতি থেকে সরে আসেন, তাহলে ঠিকঠাক কারণ দর্শান, যাতে আমরা তা খতিয়ে দেখতে পারি।’
শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের সেই মন্তব্য মেনে নেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বলেন, ‘আপনারা (বেঞ্চ) যেটা বলেছেন, তা মাথায় রাখব আমরা।’ প্রত্যুত্তরে বিচারপতি খানউইলকরের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছে, ‘আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। বর্তমানে আমরা যে পরিস্থিতিতে আছি, তার উপর ভিত্তি করে যেটা ঠিক হবে, সেই সিদ্ধান্ত নিন আপনারা।’
করোনা পরিস্থিতিতে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) এবং দা ইন্ডিয়ান সার্টিফিকেট সেকেন্ডারি এডুকেশনের (সিআইএসসিই) দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা নিয়ে একটি মামলা শুনছিল শীর্ষ আদালত। সোমবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আগামী দু'দিনের মধ্যে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা আশা করছি যে বৃহস্পতিবার (৩ জুন) পর্যন্ত সময় দেবে মহামান্য আদালত, যাতে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতের সামনে আসতে পারি।’
কিন্তু যে পড়ুয়ারা দ্বাদশ শ্রেণির পর বিদেশে পড়তে চান, পরীক্ষার ফল প্রকাশের বিলম্বের জেরে তাঁদের যে সমস্যার মুখে পড়তে হবে, তা সোমবারের শুনানিতে উত্থাপন করেন মামলাকারী তথা আইনজীবী মমতা শর্মা। তা নিয়ে বেঞ্চ বলেছে, ‘ওদের সিদ্ধান্ত নিতে নিন। সেটার উপর ভিত্তি করে আমরা দেখব। আমরা বিষয়টি বৃহস্পতিবার দেখব, যখন আমাদের সামনে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’ সেইমতো আগামী বৃহস্পতিবার আবারও মামলার শুনানি হবে।