করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গতবার অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে নম্বর দেওয়া হয়েছিল। এবার দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার ক্ষেত্রে সেই নীতি পালটে অন্য কোনও পদক্ষেপ করা হলে ‘স্পষ্ট কারণ’ দর্শাতে হবে। সোমবার কেন্দ্রকে এমনই জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
করোনা পরিস্থিতিতে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) এবং দা ইন্ডিয়ান সার্টিফিকেট সেকেন্ডারি এডুকেশনের (সিআইএসসিই) দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা নিয়ে একটি মামলা শুনছিল শীর্ষ আদালত। সোমবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেনুগোপাল বলেন, ‘আগামী দু'দিনের মধ্যে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা আশা করছি যে বৃহস্পতিবার (৩ জুন) পর্যন্ত সময় দেবে মহামান্য আদালত, যাতে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতের সামনে আসতে পারি।’ কেন্দ্রের সেই আর্জি মেনে নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেইমতো আগামী বৃহস্পতিবার আবারও মামলার শুনানি হবে।
এমনিতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গত বছর মাঝপথেই স্থগিত হয়ে গিয়েছিল সিবিএসই এবং আইএসসি দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। পরে তা বাতিল হয়ে যায়। অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছিল। কোনও পড়ুয়া সেই নম্বরে সন্তুষ্ট না হলে পরীক্ষা আয়োজনের ঘোষণা করা হয়েছিল।
সোমবার বিচারপতি এ এম খানউইলকরের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, কেন্দ্র যদি বোর্ড পরীক্ষা আয়োজনের ক্ষেত্রে গতবারের নীতি থেকে সরে যায়, তাহলে অতি অবশ্যই ‘স্পষ্ট কারণ’ দর্শাতে হবে। অ্যাটর্নি জেনারেলকে শীর্ষ আদালত বলেছে, ‘যদি আপনারা গত বছরের নীতি থেকে সরে আসেন, তাহলে ঠিকঠাক কারণ দর্শান, যাতে আমরা তা খতিয়ে দেখতে পারি।’ শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের সেই মন্তব্য মেনে নেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বলেন, ‘আপনারা (বেঞ্চ) যেটা বলেছেন, তা মাথায় রাখব আমরা।’ প্রত্যুত্তরে বিচারপতি খানউইলকরের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছে, ‘আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। বর্তমানে আমরা যে পরিস্থিতিতে আছি, তার উপর ভিত্তি করে যেটা ঠিক হবে, সেই সিদ্ধান্ত নিন আপনারা।’