বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের নয়া সরকার গঠিত হল রবিবার। নরেন্দ্র মোদী সহ ৭১ জন সাংসদ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন রাষ্ট্রপতি ভবনে। তবে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়া অনেকেই লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি বা লড়েও হেরেছেন। এই আবহে লোকসভার সদস্য না হয়েও কারা কারা মন্ত্রী হলেন মোদী ৩.০ সরকারে? দেখুন তালিকা... (আরও পড়ুন: মাত্র ২৪০ আসন পেয়ে সরকার গঠন, এবার বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে বিজেপিতে)
আরও পড়ুন: মোদী ৩.০-তে অভিষেক ৩৩ মন্ত্রীর, পদ পেয়েছেন 'পরিবারতন্ত্রের' ৬ প্রতিনিধি
জর্জ কুরিয়ান: কেরলের বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা আইনজীবী জর্জ কুরিয়ানকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশের পর গত চার দশক ধরে তিনি কেরলে বিজেপির সংগঠনের হয়ে কাজ করে চলেছেন।
সতীশ দুবে: রাজ্যসভার সাংসদ এবং বিহারের চম্পারণ অঞ্চলের ব্রাহ্মণ নেতা সতীশ। তিনি ২০১৪ এবং ২০১৯ সাল থেকে লোকসভায় বাল্মীকি নগর আসনের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। দুবে আখ চাষিদের সমস্যার কথা তুলে ধরে রাজনীতিবিদ হিসেবে নাম কুড়িয়েছিলেন।
সঞ্জয় শেঠ: রাঁচির ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ সঞ্জয় শেঠ রাজ্যসভার সদস্য। রবিবার নরেন্দ্র মোদী সরকারে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনিও। তিনি ১৯৭৬ সালে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের ছাত্রনেতা হিসাবে তাঁর রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেছিলেন এবং ২০১৯ সালে তিনি রাজ্যসভা সংসদ সদস্য হন।
আরও পড়ুন: বেতন বা ভাতা আটকে রাখা কি প্রতারণামূলক অপরাধ? বড় পর্যবেক্ষণ আদালতের
রামনাথ ঠাকুর: দু'বারের জেডিইউ সাংসদ তথা ভারতরত্ন কর্পুরি ঠাকুরের ছেলে রামনাথ ঠাকুরও রবিবার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন।
বিএল ভার্মা: রাজ্যসভার সাংসদ বিএল ভার্মাও রবিবার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন। নরেন্দ্র মোদীর আগের মেয়াদে তিনি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
পাবিতা মার্ঘেরিটা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অসমের থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভার সাংসদ পাবিতা মারঘেরিটা।
আরও পড়ুন: বাড়বে ইনসেন্টিভ! ভোট মিটতেই বদলে যাবে সরকারি কর্মীদের বেতন কাঠামো?
এল মুরুগান: তামিলনাড়ুর প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় পশুপালন প্রতিমন্ত্রী এল মুরুগান লোকসভা ভোটে ডিএমকে-র এন কায়ালভিজি সেলভারাজের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবারে। যদিও ভোটে তিনি হেরে যান। তবে রবিবার ফের তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
রভনীত সিং বিট্টু: ৪৮ বছর বয়সি রাজনীতিবিদ ও তিনবারের সাংসদ লোকসভা ভোটের ঠিক আগে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। লুধিয়ানা আসন থেকে প্রার্থী হলেও কংগ্রেসের অমরিন্দর সিং রাজা ওয়ারিংয়ের কাছে হেরে যান তিনি। তবে গতকাল তিনি মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
এস জয়শঙ্কর: গুজরাট থেকে দু'বার রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জয়শঙ্কর। এবাও তাঁকে ফের একবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদীর দ্বিতীয় মেয়াদে প্রথমবার মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন জয়শঙ্কর।
নির্মলা সীতারামন: অন্ধ্রপ্রদেশ ও কর্ণাটক থেকে দু'বার রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়েছেন নির্মলা সীতারামন। এবারও ফের একবার মোদী ৩.০ সরকারে জায়গা পেয়েছেন তিনি।
জেপি নড্ডা: রাজ্যসভার সাংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নড্ডাকে রবিবার মোদী ৩.০ মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর আগে ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৩০ মে পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদীর প্রথম মেয়াদে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন নড্ডা। এরপর সংগঠনের পদে যাওয়ায় মন্ত্রী পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। ফের একবার তিনি মোদীর মন্ত্রিসভায় ফিরলেন।
রামদাস আঠাওয়ালে: রিপাবলিকান পার্টি অফ ইন্ডিয়ার (আটওয়ালে) সভাপতি এবং রাজ্যসভার সদস্য আঠাওয়ালে পূর্ববর্তী সরকারে সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এনডিএ শরিক আরপিআই (এ) মহারাষ্ট্র থেকে লোকসভা নির্বাচনে কোনও প্রার্থী দেয়নি এবারে। তা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকছেন আঠাওয়ালে।
হরদীপ সিং পুরী: রাজ্যসভার সাংসদ এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী পুরীও মোদী ৩.০ মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন। ১৯৭৪ ব্যাচের ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিস অফিসার হরদীপ সিং ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।