জতুগৃহে পরিণত হল থাইল্যান্ডের একটি নাইটক্লাব। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন ৪০ জন আহত। শুক্রবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে ব্যাংকক থেকে ১৫০ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত চোনবুরি প্রদেশের সত্তাহিপ জেলার মাউন্টেন বি নাইটস্পটে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন। মৃতদের মধ্যে চারজন মহিলা এবং নয়জন পুরুষ রয়েছেন।
থাইল্যান্ডের স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাণ বাঁচাতে বেশিরভাগই মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন নাইট ক্লাবের বাথরুমে। আবার অনেকেই বাইরে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন। উদ্ধারকারী দলের তরফে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, নাইট ক্লাব থেকে চিৎকার করতে করতে বেরিয়ে আসছেন বহু মানুষ। তাদের অনেকের গায়ে দাউ দাউ করে করে জ্বলছে আগুন। ক্লাবে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্লাবের দেওয়ালে দাহ্য পদার্থ থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পাওয়ার পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছান দমকল কর্মীরা। তারা প্রায় তিন ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ফ্লু তা লুয়াং থানার পুলিশ লেফটেন্যান্ট কর্নেল বুনসোং ইংইয়ং জানিয়েছেন, এ দিনের দুর্ঘটনায় মৃত সকলেই থাইল্যান্ডের নাগরিক। বিদেশীদের মৃত্যুর কোনও খবর নেই। প্রসঙ্গত, নাইটক্লাবগুলির প্রতি পুলিশের কড়া নজরদারির অভাবেই এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। অতীতে থাইল্যান্ডের একাধিক নাইট ক্লাবে এই ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ২০০৯ সালে ব্যাংককের সানকি সান্তিকা ক্লাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। যার ফলে ৬৭ জন নিহত হয়েছিলেন এবং আহত হয়েছিলেন প্রায় ২০০ জন। এছাড়াও ২০১২ সালে হলিডে দ্বীপের একটি ক্লাবে অগ্নিকাণ্ডের ফলে মৃত্যু হয়েছিল চার জনের।