স্নেহাশিস রায়
আপনার কুকুরও কি দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে? কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের এই মন্তব্যকে ঘিরে তুমুল শোরগোল পড়েছে সংসদে। এবার এনিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। হট্টগোল নিয়ে রীতিমতো বিরক্ত জগদীপ ধনখড়।
তিনি বলেন, এই হাউজ মত প্রকাশের একটি প্লাটফর্ম। এখানে যা বলা হয় তার বড় গুরুত্ব রয়েছে। তবে সবটাই আইনের মধ্যে থেকে করা দরকার। এদিকে হট্টগোল শুরু হতেই ধনখড় বার বার বলেন,একটা বাজে নজির তৈরি হচ্ছে।
তিনি বলেন, একটা বাজে নজির তৈরি করা হল। এই ধরনের আচরণ একটা বদনাম করে দেয়। কী যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতির মুখোমুখি হলাম আমরা।
বিগত দিনে বাংলার রাজ্যপালের চেয়ারে ছিলেন জগদীপ ধনখড়। বার বার সেই সময় শাসকদলের অনিয়মের বিরুদ্ধে সুর চড়াতেন তিনি। এবার তিনিই বললেন, বিশ্বাস করুন, ১৩৫ কোটি মানুষ আমাদের দিকে তাকিয়ে হাসছেন। তাঁরা সমস্ত বিষয়গুলি সম্পর্কে অবহিত। তাঁরা ভাবছেন আমরা একে অপরের কথা শুনতেও চাই না। কার্যত এভাবেই শাসক ও বিরোধী উভয়কেই সতর্ক করলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়।
এবার দেখা যাক ঠিক কী নিয়ে হট্টগোল শুরু হল সংসদে?
আসলে রাজস্থানের আলওয়ারে এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কার্যত নাম না করে মোদীকে আক্রমণ করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি বলেছিলেন, উনি বাইরে সিংহের মতো কথা বলেন। কিন্তু ভেতরে ভেতরে তিনি ইঁদুর। আমরা দেশের সঙ্গে আছি। কিন্তু সরকার তথ্য় গোপন করছে। বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি সুর চড়ান, আপানাদের বাড়ির কুকুরটাও কি দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে? তাও আপনারা দেশভক্ত বলে দাবি করেন। আর আমরা কিছু বললেই আমাদের দেশদ্রোহী বলে দেগে দেওয়া হয়।
এবার তানিয়ে সংসদের অভ্যন্তরে তীব্র প্রতিবাদ জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। মল্লিকার্জুন খাড়গেকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য দাবি জানান তিনি। কিন্তু মল্লিকার্জুনের দাবি, সংসদের বাইরের বিষয় । এনিয়ে তিনি ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করেন।