আরব সাগরে ডুবে যাওয়া বার্জের ১৮৪ জন কর্মীকে উদ্ধার করল ভারতীয় নৌবাহিনী। তাঁদের নাম-পরিচয় ওএনজিসি এবং আফকনকে জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে বার্জের ২২ জনের মৃতদেহ। বাকিদের খোঁজে এখনও তল্লাশি অভিযান চলছে।
বুধবার নৌবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘তাউটে’-এর দাপটের মধ্যে ডুবে যাওয়া পি৩০৫ বার্জের ১২৫ জনকে উদ্ধার করে মুম্বই বন্দরে ফিরিয়ে এনেছে আইএনএস কোচি। ভারতীয় নৌবাহিনীর কমান্ডিং অফিসার ক্যাপ্টেন সচিন সিকুয়েইরা বলেন, ‘যে ১৮৪ জনকে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১২৫ জনকে নিয়ে ফিরে এসেছে আমার জাহাজ।’ বার্জের এক সদস্য বলেন, 'বার্জটি ডুবে যাচ্ছিল। তাই বাধ্য হয়ে সমুদ্রে ঝাঁপ দিই। ১১ ঘণ্টা ঘরে সমুদ্রে ভেসেছিলাম। তারপর নৌবাহিনী আমাদের উদ্ধার করেছে। '
তিনি জানান, আবহাওয়া এতটাই খারাপ যে উদ্ধারকাজ চালানো রীতিমতো দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ঘণ্টায় ৯০-১০০ কিলোমিটার বেগে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। সঙ্গে ৯-১০ মিটার উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়েছে। আইএনএস কোচির পাশাপাশি আইএনএস কলকাতাও কয়েকজনকে উদ্ধার করে মুম্বইয়ে ফিরে এসেছে। নিখোঁজদের সন্ধানে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে আইএনএস তেগ, আইএনএস বেতওয়া, আইএনএস বিয়াস, পি৮আই জেট-সহ ভারতীয় নৌবাহিনীর বিভিন্ন যান।
উল্লেখ্য, ‘তাউটে’-এর সতর্কতার মধ্যে বোম্বে হাই (বর্তমানে মুম্বই হাই নামে পরিচিত, যা তৈল উত্তোলনের ক্ষেত্র) এলাকার হীরা তৈলক্ষেত্র (মুম্বইয়ের দক্ষিণ-পশ্চিমে ৭০ কিলোমিটার দূরে) থেকে গিয়েছিল পি৩০৫ বার্জ। যা মুম্বই উপকূল থেকে ৭০ কিলোমিটার মতো দূরে অবস্থিত। সেই বার্জে ২৭৩ জন ছিলেন। তাঁদের উদ্ধারের জন্য সোমবারই রওনা দেয় ভারতীয় নৌবাহিনবীর রণতরী আইএনএস কোচি এবং আইএনএস কলকাতা। উদ্ধারকার্যে সামিল করা হয় নৌবাহিনীর আরও জাহাজ, কপ্টারকে। তারইমধ্যে মঙ্গলবার বার্জটি আরব সাগরে ডুবে যায়।