দীর্ঘ টালবাহানা, যুক্তি পাল্টা যুক্তি থেকে তুমুল তর্ক—অবশেষে তৃণমূল কংগ্রেসের ১৪ জন যুবনেতা মুক্ত হলেন পুলিশের হাত থেকে। ত্রিপুরার আদালতে জামিন পেলেন তাঁরা। ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয়েছে তাঁদের। আদালতে যখন শুনানি চলছে তখন খোয়াই থানায় ঠায় বসে রইলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আদালতে গিয়েছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ, মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন।
এদিন আদালতে তৃণমূল কংগ্রেস যুব নেতাদের হয়ে সওয়াল করেন মোট ১২ জন আইনজীবী। তার মধ্যে ৮ জন কলকাতা থেকে গিয়েছিলেন। বাকি চার আইনজীবী ত্রিপুরার। তারপরে ১৪ জন জামিন পান। আদালত চত্বরে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী–সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। তাঁদের সামলাতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। আদালতে যাওয়ার পথে তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক ও আইনজীবী সঞ্জয় বসুর গাড়িতে বিজেপি কর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
রবিবার ত্রিপুরায় থাকা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্য, যুব নেতা সুদীপ রাহা, নেত্রী জয়া দত্ত–সহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে মহামারি আইন প্রয়োগ করে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই ঘটনার পরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সকালে বিমানে করে আগরতলা পৌঁছে যান। তারপর সেখান থেকে খোয়াই থানায় যান। কোন অভিযোগের ভিত্তিতে দলের যুব নেতা–নেত্রীদের গ্রেফতার করা হয়েছে সেই নথি দেখতে চান। পুলিশের সঙ্গে তখন উত্তপ্ত বাক্য–বিনিময় শুরু হয়ে যায়।
থানায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজীব সেনগুপ্ত, এসডিপিও রাজীব সূত্রধরও ওসি মনোরঞ্জন দেববর্মাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে আপনি অভিযোগ দেখান। আমি এখানে বসে থাকব৷ আপনি হয় এদের থানা থেকে জামিন দিন, নয়তো জানান, অভিযোগ কী। আপনি বিজেপির কথায় কাজ করছেন।’