দেশের সর্ব বৃহৎ কোভিড সেন্টারে তরুণীকে ধর্ষণ। তাও একেবারে আইটিবি-র নাকের ডগায়। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল দিল্লি। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ও তার সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুই জনেই করোনা পজিটিভ।
পুলিশ জানিয়েছে দিল্লির ছতরপুরে দেশের বৃহত্তম কোভিড সেন্টারে এই কাণ্ড ঘটেছে। ১৪ বছরের এক কিশোরীকে গত সপ্তাহে ধর্ষণ করা হয়েছে এই ১০ হাজার বেড বিশিষ্ট কোভিড সেন্টারে। অভিযুক্তও টিনএজার, ১৯ বছরের এক তরুণ।
এই ঘটনার কথা জানার পরেই কিশোরীকে একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় যেখানে তার কোভিডের চিকিৎসাও চলছে। অন্যদিকে দুই অভিযুক্তকেও অন্য একটি হাসপাতালে ভর্তি করা আছে, বিচারবিভাগীয় কাস্টডিতে, জানিয়েছে অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার পরবিন্দর সিং। পসকোর আওতায় কেস দায়ের করা হয়েছছে ময়দান গারহি পুুলিশ স্টেশনে।
ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ এই সেন্টারটিতে নিরাপত্ত দেয়। কিন্তু তার মধ্যেও ১৫ জুলাই এই ঘটনা হয়েছে। ১০,২০০ টি বেড থাকলেও বর্তমানে মাত্র ২৫০ জন আছেন সেখানে।তাই অনেক খালি জায়গা আছে। মোট ১০০জন জওয়ান নিয়োগ করেছে আইটিবিপি।
সূত্রের খবর, কিশোরী ও এই দুই অভিযুক্তের কোভিড সেন্টারে গিয়ে পরিচিয় হয়। ১৫ তারিখ অভিযুক্ত মেয়েটিকে ওই কোভিড সেন্টারের মধ্যে একটি নিরিবিলি জায়গাতে নিয়ে যায়। তারপর নিজের সঙ্গীকে পাহারায় বসিয়ে কোভিড সেন্টারের শৌচাগারের কাছে গিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে ১৯ বছরের অভিযুক্ত। পুরো ঘটনাটি রেকর্ড করে ওই ছেলেটির সঙ্গী।
পরের দিন ওখানকার কর্মীদের কাছে এই কথা বলে মেয়েটি। তারপর পুলিশকে জানানো হয়। হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নির্যাতিতাকে যেখানে মেডিক্যাল টেস্টে যৌন হেনস্থার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
প্রসঙ্গত দুই অভিযুক্তের পরিবারের লোকেরা কোভিড সেন্টারে ভর্তি। যেখানে করোনার লক্ষণ খুব সঙ্গীন নয়, সেখানে কোভিড সেন্টারে ভর্তি করে রাখা হচ্ছে।
একজন আইটিবিপি কর্তা জানিয়েছেন শৌচাগারের কাছে জওয়ানরা থাকে না, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে। তবে এই ঘটনার তদন্ত হচ্ছে ও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
তারা দ্রুত অভিযোগ পেয়েই ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইটিবিপি-র কর্তা। বর্তমানে কোভিড সেন্টারে ৩০ শতাংশ মহিলা বলে জানা গিয়েছে।