মকর সংক্রান্তি বা উত্তরায়ণ উপলক্ষে ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটল গুজরাটে। ঘুড়ির মাঞ্জায় গলা কেটে অথবা ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে রাজ্যজুড়ে বহু দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও আহত হয়েছেন শতাধিক। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
আরও পড়ুন: ঘুড়ির সুতোয় টান দিয়েই ‘ওওওওও....’, বাচ্চা হলেন শাহ, 'আমারও শখ ছিল', বললেন মোদী
রিপোর্ট অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে সৌরাস্ট্র কচ্ছ এবং মধ্য গুজরাটে। এখানে ৬ জন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও আমেদাবাদে একজন ও ভারুচে একজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্য একজনের মৃত্যু হয়েছে গুজরাটের আরাবল্লি জেলায়। মৃতদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সি এক শিশু। গান্ধীধাম শহরের বাসিন্দা ওই শিশু। ঘুড়ি ওড়ানোর সময় শিশুটি তার বাবার হাত থেকে নিচে পড়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। ভাদোদরা শহরে ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে এবং মাঞ্জায় গলা কেটে যাওয়ার ফলে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। এছাড়াও ট্রেনের সামনে ঘুড়ি ধরতে গিয়ে একজন মারা গিয়েছে।
রাজ্যের প্রধান শহরগুলির ১১টি সরকারি হাসপাতালের তথ্য অনুসারে, ১৪ জানুয়ারিতে মোট ৩৬০ জন আহতের চিকিৎসা করা হয়েছে৷ এর মধ্যে আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে ৫৭ জন, এলজি হাসপাতালে ৩৪ জন, শারদাবেন হাসপাতালে ৩৫ জন রোগী রয়েছে৷ এসভিপি হাসপাতালে ১৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন৷ রাজকোটের পিডিইউ মেডিক্যাল কলেজ এবং সিভিল হাসপাতালে মোট ১০১ জনের চিকিৎসা করা হয়েছিল। ভাদোদরার এসএসজি হাসপাতালে অন্তত ৩০ জন রোগীকে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়েছিল। সুরাটে ১৬ জন রোগীকে নিউ সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে, জামনগরে পুলিশ একজন খামার মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মাঠের চারপাশে বেআইনিভাবে বৈদ্যুতিক তারের বেড়া দেওয়ার কারণে ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সেই কারণে খামার মালিকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
দুই দিনের এই উৎসবে সাধারণত যানবাহন থেকে দুর্ঘটনা, ছাদ থেকে পড়ে যাওয়া, ঘুড়ির মাঞ্জার আঘাত, বৈদ্যুতিক শক প্রভৃতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। আরও জানা গিয়েছে, এই দুদিনে জরুরি নম্বরে ফোন এসেছে ৯ হাজারের বেশি। যার মধ্যে ১৪ জানুয়ারি ৪,৯০০ জনের ফোন এসেছে এবং ১৫ জানুয়ারি ৪,৫০০ জনের ফোন এসেছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে।