এস রাজু
সোনার দোকারে সিঁদ কেটে ঢোকার জন্য ১৫ ফুট দীর্ঘ সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ফেলেছিল চোরের দল। সোনার দোকানে রাতের অন্ধকারে ঢুকেও পড়েছিল তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দোকানের ভেতরে ঢুকতে পারেনি। ভল্টও ভাঙতে পারেনি। এরপর তারা ফিরে যায়। তবে যাওয়ার আগে একটা চিঠি তারা লিখে গিয়েছে। সেখানে লিখেছে সরি, করতে পারলাম না, ইতি চুন্নু, মুন্নু। তবে চোরের এমন কাণ্ড দেখে হতবাক সোনার দোকানের মালিক। উত্তরপ্রদেশের রিঠানি এলাকার ঘটনা।
সূত্রের খবর, ওই সোনার দোকানের কাছে একটি নর্দমা রয়েছে। সেই নর্দমা বরাবর ওই সুড়ঙ্গ খোঁড়া হয়েছিল। দোকানের মালিক দীপক কুমার হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, একটা ঢাকা দেওয়া ড্রেনের নীচে দিয়ে সুড়ঙ্গ খোঁড়া হয়েছিল। বুধবার রাতে তারা দোকানে সিঁদ কেটে ভেতরে ঢুকেও পড়েছিল। এরপর গ্যাস কাটার দিয়ে তারা ভল্ট খোলার চেষ্টা করে। কিন্তু না পারায় তারা একটি চিঠি লিখে যায়। সেই চিঠিতে তারা লেখে সরি পারলাম না। এরপর চুন্নু, মুন্নুর নাম লেখে তারা। মনে হচ্ছে তারা চারজন বা তার বেশি ছিল।
দোকানের মালিকের দাবি, তারা দোকানে থাকা কৃষ্ণের মূর্তিটাকে ঘুরিয়ে দিয়েছে। হয়তো কৃষ্ণের সামনে তারা চুরি করতে চায়নি। সেখানকার বাঁশিটা তারা নিয়ে গিয়েছে। আর নিয়ে গিয়েছে সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক। তবে এমন রসিক চোরের কাণ্ড দেখে হতবাক পুলিশ।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হচ্ছে। কারা এর সঙ্গে জড়িত সেটা দেখা হচ্ছে। মনে হচ্ছে, অনেক দিন ধরেই এই টানেল খোঁড়া হয়েছিল। এই ঘটনায় কারা জড়়িত তা দেখা হচ্ছে।
তবে সচরাচর এমন ঘটনা দেখা যায় না। সোজা ১৫ ফুট দীর্ঘ সুড়ঙ্গ খোঁড়া হয়েছিল সোনার দোকান পর্যন্ত। এদিন সাটার খোলার পর ব্যবসায়ী দেখেন দেওয়ালে গর্ত খোঁড়া হয়েছে। সুড়ঙ্গ করে সেই দোকানে ঢুকেছিল চোর। তবে কবে এই সুড়ঙ্গ খোঁড়া হয়েছিল তা বোঝা যাচ্ছে না।
সিসি ক্যামেরাও নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। তাদের যাতে বোঝা না যায় সেকারণেই সিসি ক্যামেরা নষ্ট করা হয়েছে। তবে পুলিশ এলাকার অন্য় সিসি ক্যামেরা দেখছে। তবে চুরি করতে এসে এমন ক্ষমা চেয়ে ফিরে যাচ্ছে চোর তা কার্যত নজিরবিহীন। পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজ চালাচ্ছে।