মধ্যপ্রদেশের ভূপালে লোকায়ুক্তের অভিযানে বিরাট পর্দাফাঁস হল। বৃহস্পতিবার এক অ্য়াসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল টিম। ওই মহিলা ইঞ্জিনিয়ার অস্থায়ীভাবে ভূপালে কাজ করেন।
আর ওই লেডি অ্য়াসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের বিলাস বহুল জীবন দেখে হতবাক তদন্তকারীরা।
ওই ইঞ্জিনিয়ারের বেতন ৩০ হাজার টাকা মাত্র। কিন্তু তাঁর বাড়িতে যে সম্পত্তি মিলেছে তা অন্তত বেতনের থেকে তিন হাজার গুণ বেশি। কিন্তু যাঁর বেতন মাত্র ত্রিশ হাজার তিনি এই বিপুল সম্পত্তি করলেন কীভাবে? তবে ওই বাড়িতে ঢুকে থ হয়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। একেবারে যেন রাজপ্রাসাদ।
তাঁর বাড়িতে অন্তত ১৫০টি দেশি বিদেশি প্রজাতির কুকুর রয়েছে। নিয়মিত তাদের দেখভাল করা হয়। টিভির দাম ৩০ লাখ, ২০টি দামী গাড়ি। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল টাকা।
এদিকে তদন্তকারীদের দাবি যার মাইনে ৩০ হাজার টাকা তিনি তিরিশ লাখ দিয়ে টিভি কিনলেন কীভাবে? তবে সূত্রের খবর, তিরিশ লাখের টিভি বাড়িতে অযত্নেই পড়েছিল। সেটা বাক্স থেকেও খোলা হয়নি।
২০টি বিলাসবহুল গাড়ি তার গ্যারাজে। তার মধ্যে একটি আবার মাহিন্দ্রা থর। কিন্তু কোথা থেকে এত টাকা পান সেটাই এখন প্রশ্ন।
এদিকে ১৫০টি কুকুর রাখার জন্য বাড়িতে অন্তত ২০টি ঘর করা হয়েছে। এই কুকুরদের জন্য রুটি তৈরি করতে একটি মেশিন কেনা হয়েছিল। সেটারই দাম আড়াই লাখ টাকা।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বেতন ৩০ হাজার। অথচ যে সম্পত্তি তিনি করেছেন তা ৩০০ গুণ বেশি। ইঞ্জিনিয়ারের নাম হেমা মীনা। ১৩ বছর আগে তিনি ওই অস্থায়ী চাকরিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন। স্বামীর সঙ্গেও তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এত সম্পত্তি তিনি পেলেন কোথা থেকে?
সেই রহস্যই দানা বেঁধেছে এখন। তবে কি তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি এই বিপুল টাকা আয় করেছেন? তবে ঠিক কী ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে তিনি যুক্ত সেটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তাকে জেরা করে আসল কারণ জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। সব মিলিয়ে তাঁর প্রায় ৭ কোটির সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। তবে দেখা যাচ্ছে তিনি প্রায় সবগুলিই তার বাবার নামে কিনেছেন।