বিশ্ব কল্যাণ পুরকায়স্থ
কাঁটাতারের বেড়ার ওপারেই এখনও থাকেন তাঁরা। প্রায় ১৫০টি ভারতীয় পরিবারকে এবার অসমে পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নিল সরকার। করিমগঞ্জের কাছে অসম- বাংলা সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে বাস করেন তাঁরা। প্রায় ৯টি গ্রাম রয়েছে কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে। কার্যত এতদিন নেই রাজ্যের বাসিন্দা ছিলেন তাঁরা। ভারতীয় হয়েও নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন তাঁরা। এতদিন পরে সেই বঞ্চনার অবসান হচ্ছে।
ওই এলাকায় না আছে স্কুল, না আছে হাসপাতাল বা অন্য়ান্য সরকারি অফিস। প্রতিবার মূল ভূখণ্ডে আসার জন্য় তাঁদের বিএসএফের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। বার বার তাঁরা সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন এই দুর্বিষহ অবস্থা থেকে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হোক। এতদিন পরে মুখ তুলে চাইল সরকার।
করিমগঞ্জের জেলা প্রশাসন ওই এলাকার সমস্ত পরিবারকে চিঠি দিয়ে জানায় যাবতীয় তথ্য নিয়ে যেন তাঁরা ৩০ জুনের মধ্যে প্রশাসনের সঙ্গে দেখা করেন। এই সময়কালের মধ্যে তাঁরা ক্ষতিপূরণের জন্য়ও আবেদন করতে পারেন।
অসম সরকারের আধিকারিক দেব জ্ঞানেন্দ্র ত্রিপাঠি জানিয়েছেন, চলতি আর্থিক বছরের মধ্যে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে। এনিয়ে সরকারের দুটি পরিকল্পনা রয়েছে।
এক্ষেত্রে হয় কাঁটাতারের বেড়াটিকে কিছুটা বাড়িয়ে তাঁদের ভেতরে আনা হবে। অথবা তাঁদেরকেই বলা হবে মূল ভূখণ্ডে চলে আসতে। সেক্ষেত্রে তাঁদের জন্য জমির ব্যবস্থা করবে সরকার।
মিজোরাম ও কাছার ফ্রন্টিয়ারের আইজি বিএসএফ মৃদুল কুমার সোনোয়াল জানিয়েছেন আমরা প্রকৃত বেড়াটিকে স্থানান্তরিত করতে পারি। অথবা বাড়তি একটা বেড়া দিতে পারি। হাজার হাজার ভারতীয় বেড়ার বাইরে রয়েছে এতে সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সীমান্তের বাংলাদেশের দিকটা একেবারে ফাঁকা। এনিয়ে কেন্দ্রের কাছে জানানো হয়েছে।