দু'বছর আগে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। আচমকা একদিন দেখলেন অ্যাকাউন্টে ব্যালেন্স আছে ৯ কোটি ৯৯ লাখ ৪ হাজার ৭৩৬ টাকা! তাতে রীতিমতো হতবাক হয়ে যান উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার রুকুরপুরা গ্রামের কিশোরী সরোজ (১৬)।
সম্প্রতি সরোজ জানতে পারেন, বাঁশডিহতে এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা জমা পড়েছে। রীতিমতো আকাশ থেকে পড়েন তিনি। উচ্চবিত্ত তো দূর অস্ত, কিশোরীর পরিবারের অবস্থা মোটেই স্বচ্ছল নয়। উলটে প্রায় ১০ কোটি টাকায় জমা পড়ায় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তারপর সোমবার মা'র সঙ্গে ব্যাঙ্কে যান ওই কিশোরী। ব্যাঙ্কে ও পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
কিন্তু কীভাবে অ্যাকাউন্টে অত টাকা টাকা এল, তা বুঝতে পারছেন না সরোজ। জানান, তাঁর বাবা আমদাবাদের একটি গ্যারাজে কাজ করেন। সরোজ নিজে স্কুলেও যায়নি কখনও। শুধুমাত্র নিজের সই করতে পারেন। তা দিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলেন। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, আগেও একাধিকবার ওই অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন হয়েছে। কিন্তু সে বিষয়ে কোনও ধারণাই ছিল না সরোজের। আপাতত অ্যাকাউন্টে লেনদেন বন্ধ রাখা হয়েছে।
তবে সরোজ জানান, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর পাইয়ে দেওয়ার অজুহাতে কানপুর দেহাত জেলার নীলেশ নামে এক ব্যক্তি তাঁর আধার কার্ড, ছবি-সহ অন্যান্য নথি চেয়েছিল। সেইমতো নীলেশের ঠিকানায় সেইসব নথি পাঠিয়েছিলেন সরোজ। পরে এটিএম কার্ড পাওয়ার পরও নীলেশকে তা পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। এমনকী এটিএম কার্ডের পিনও জানিয়েছিলেন।
আপাতত পুলিশকে নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-সহ অন্যান্য তথ্য দিয়েছেন সরোজ। জানিয়েছেন, নীলেশকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। তার ফোন বন্ধ বলছে। বাঁশডিহ থানার আইসি রাাকেশ কুমার সিং জানিয়েছেন, কীভাবে ওই পরিমাণ টাকা জমা পড়ল, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবে ব্যাঙ্ক। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।