অসম সীমান্তে ভোর রাতে ১৭ জন বাংলাদেশির অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করল অসম। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ভোর রাতে ৮ শিশু সহ ১৭ জন ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। সেই চেষ্টায় জল ঢেলে দিয়েছে অসমের পুলিশ। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এই তথ্য দিয়ে সাফ জানিয়েছে, ওই ১৭ জনকেই ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মাঝের সময়ে বাংলাদেশ দেখেছে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। ছাত্র-জনতা আন্দোলনের হাত ধরে সেদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে সরব হয় বাংলাদেশের আন্দোলনকারীরা। এরপরই রাতারাতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এখানেই শেষ নয় তিনি বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপরও অশান্তির আঁচ নেভেনি। বাংলাদেশে একের পর এক জায়গায় বহু ধ্বংসলীলা দেখা গিয়েছে। হিন্দু মন্দিরে হয়েছে আক্রমণ। বহু মানুষ সেই সময়ই ভারত সীমান্তে জড়ো হতে শুরু করেছিলেন এদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টায়। এদিকে, সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হল সদ্য। অসমে ১৭ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
এক টুইটে হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানান,'অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ, অসম পুলিশ আজ ভোরে ৯ বাংলাদেশি এবং ৮ শিশুকে সীমান্তের ওপারে পাঠিয়ে দিয়েছে।'
হিমন্ত বিশ্বশর্মা তাঁর পোস্টে তুলে ধরেন ওই ১৭ জনের নাম। হারুল লামিন, উমাই খুনসুম,মহম্মদ ইসমাইল, সানসিদা বেগম, রুফিয়া বেগম, ফাতেমা খাতুন,মজুর রহমান, হবি উল্লাহ,সবিকা বেগম। অসম পুলিশের প্রশংসা উঠে এসেছে হিমন্ত বিশ্বশর্মার পোস্টে। এর আগেও সদ্য ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ থেকে একটি দল অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল অসম সীমান্ত দিয়ে। সেবারও অনুপ্রবেশ রুখে দেয় অসম প্রশাসন। সেবার অসমের করিমগঞ্জ জেলায় এই ঘটনা ঘটছিল। তবে পরে অসম প্রশাসনের দক্ষতায় তা রুখে দেওয়া হয়। সেবার অসম পুলিশকে কুর্নিশ জানিয়ে হিমন্ত বিশ্বশর্মা পোস্টে লেখেন,'ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সতর্কতা বজায় রাখা, অসম পুলিশ গতরাতে ০০.৪০ টায় বাংলাদেশি নাগরিকদের শনাক্ত ও ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয়। '