কেবলমাত্র প্লাস্টিকের 'ইউজ অ্যান্ড থ্রো' গ্লাস না দেওয়ার 'অপরাধে' ১৮ বছরের এক তরুণকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে! বুধবার রাতে এই ঘটনা ঘটে উত্তরপ্রদেশের বরেলির রোহতাপুর এলাকায়।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, নিহত ওই তরুণের নাম সত্যপাল কাশ্যপ। তিনি ওই এলাকায় একটি মুদির দোকান চালাতেন। তাঁর ভাই দীনেশ কাশ্যপ জানিয়েছেন, 'যাঁরা আমার ভাইকে গুলি করে খুন করেছে, ওরা আগেও আমার ভাইয়ের দোকানে এসেছিল। ওরা আমার ভাইয়ের কাছে মদ্যপান করার জন্য ডিসপোজেবল গ্লাস চেয়েছিল। কিন্তু, আমার ভাই সেই গ্লাস দেয়নি। এরপরই, ওরা আমার ভাইয়ের সঙ্গে ঝগড়া করে, আমার ভাইকে হুমকি দেয়। এর কয়েক ঘণ্টা পর ওরা ফিরে আসে এবং আমার ভাইকে খুন করে।'
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, যে সময় গুলিচালনার ঘটনাটি ঘটে, সেই সময় সত্যপাল তাঁর দোকানের ভিতর ঘুমিয়ে ছিলেন। তখনই তাঁকে গুলি করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।
তবে, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের হাতে যে তথ্য উঠে এসেছে, তাতে আশঙ্কা করা হচ্ছে, শুধুমাত্র গ্লাস না দেওয়ার জন্য সম্ভবত এই খুনের ঘটনাটি ঘটেনি। এর পিছনে পুরোনো শত্রুতা থাকতে পারে। কেন এমনটা মনে করা হচ্ছে?
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, নিহত সত্যপাল কাশ্যপের সঙ্গে অভিযুক্তদের আগেও বহুবার ঝামেলা হয়েছিল। বহুবারই দুই পক্ষ বিবাদে জড়িয়েছিল। বুধবারও তেমনই একটি ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। যার জেরে নতুন করে অশান্তি হয়।
এলাকার সার্কেল অফিসার নীলেশ মিশ্র এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, 'আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। সবকিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহত যুবকের পরিবারের সদস্যরা আমাদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। তার ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আমরা দুই অভিযুক্তকে পাকড়াও করেছি। নিহত যুবকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।'
এদিকে, এই ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। নিহত যুবকের পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও প্রশ্ন তুলছেন, সামান্য একটি গ্লাস না দেওয়ার জন্য কেউ কাউকে খুন করতে পারে কীভাবে? তাছাড়া, অভিযুক্তরা কীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র পেল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বাসিন্দারা।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তারা সবদিক খতিয়ে দেখছে। নিহত যুবকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। কথা বলা হচ্ছে এলাকাবাসীর সঙ্গেও। ঘটনায় অভিযুক্ত তৃতীয় ব্যক্তিকে পাকড়াও করতে চারিদিকে সন্ধান চালানো হচ্ছে।