খাওয়ার সময় দেওয়া হয়নি কাঁচা লঙ্কা। তা নিয়ে বচসার জেরে দুই সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা করল ছত্তিশগড় সশস্ত্র বাহিনীর (সিএএফ) এক জওয়ান। এছাড়াও, গুলিতে আহত হয়েছেন আরও দুজন। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ছত্তিশগড়ের বলরামপুর জেলার ১১ নম্বর ব্যাটালিয়নের ভুটাহি ক্যাম্পে। নিহত জওয়ানের নাম রূপেশ প্যাটেল এবং সন্দীপ পান্ডে। দুজনেই কনস্টেবল। এছাড়াও অম্বুজ শুক্লা ও রাহুল বাঘেল নামে আরও দুই কনস্টেবল আহত হন। ঘটনায় অভিযুক্ত কনস্টেবল অজয় সিদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: খাদে পড়ে গিয়েছিল গাড়ি, জওয়ান প্রেম কুমারের নিথর দেহ ফিরল কাঁচরাপাড়ায়
বলরামপুর জেলার পুলিশ সুপার রাজেশ আগরওয়াল জানিয়েছেন, ঘটনাটি ভুটাহি ক্যাম্পে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ঘটেছে।সিএএফের ১১ নম্বর ব্যাটালিয়নের ক্যাম্পে খাবার খাওয়ার সময় কনস্টেবল অজয় সিদার খাবার রূপেশ প্যাটেলের কাছ থেকে কাঁচা লঙ্কা চেয়েছিলেন। রূপেশ জওয়ানদের খাবার পরিবেশন করেছিলেন। কিন্তু, অজয়কে কাঁচা লঙ্কা দিতে অস্বীকার করেন রূপেশ। তা উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এদিকে, অম্বুজ দুজনের হাতাহাতির ঘটনায় রূপেশকে সমর্থন করেন।
তখন অজয় ক্ষুব্ধ হয়ে খাবার ছেড়ে নিজের সার্ভিস রাইফেল দিয়ে একের পর এক গুলি চালাতে শুরু করে। রূপেশ পালানোর চেষ্টা করলেও গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এছাড়াও অম্বুজ শুক্লা, সন্দীপ পান্ডে ও রাহুল বাঘেল গুলিবিদ্ধ হন। তখন ক্যাম্পের অন্যান্য জওয়ানরা অজয়কে ধরে ফেলেন।
আহত জওয়ানদের উদ্ধার করে তড়িঘড়ি কুসমির কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সন্দীপের মৃত্যু হয়। এদিকে, শুক্লার অবস্থার অবনতি হলে তাকে সরগুজার অম্বিকাপুরের একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। জানা গিয়েছে, অম্বুজ শুক্লার দুই পায়েই গুলি লাগে এবং রাহুল বাঘেলের পিঠে লাগে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত পৃথক ঘটনায় ছত্তিশগড়ে সহকর্মীদের গুলিতে ২২ জন জওয়ান নিহত হয়েছেন।এই ধরনের সর্বশেষ ঘটনাটি রাজ্যের উত্তর বস্তারের কাঙ্কের জেলায়। একজন সিএএফ হেড কনস্টেবলকে তার এক সহকর্মী গুলি করে হত্যা করেছিল। অন্যদিকে, সুকমা জেলায় ২০২১ একজন সিআরপিএফ কনস্টেবল ঘুমন্ত সহকর্মীদের উপর গুলি চালিয়েছিল। তাতে চার জওয়ান নিহত হয়েছিলেন এবং তিনজন আহত হয়েছিলেন।