বি আর আম্বেদকরের বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্যের প্রতিবাদে বুধবার দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ চালিয়েছিল কংগ্রেস। তাদের দাবি ছিল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। তবে কংগ্রেসের সেই বিক্ষোভ চলকালীন অসমের গুয়াহাটি এবং উত্তরপ্রদেশের লখনউতে দুই নেতার মৃত্যু হয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ পুলিশি অ্যাকশনের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। যদিও পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের বক্তব্য, দুই নেতা শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই। এই মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কংগ্রেস সংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর অভিযোগ, আসলে দুই কংগ্রেস নেতাকে খুন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাংসদকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে, মাথায় চোট পেলেন BJP নেতা
এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে রাহুল লিখেছেন, ‘বিজেপি শাসিত অসম এবং উত্তর প্রদেশে আবারও গণতন্ত্র ও সংবিধানকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের অতিসক্রিয়তার কারণে গুয়াহাটি এবং লখনউতে কংগ্রেস নেতাদের মৃত্যু হয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়। তবে কংগ্রেস সত্য এবং সংবিধানের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে।’
প্রসঙ্গত, বিআর আম্বেদকর সম্পর্কে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিতর্কিত মন্তব্য, মণিপুরে হিংসা দমনে কেন্দ্রের নিষ্ক্রিয়তা এবং জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যু সহ বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল কংগ্রেস।
অসমের গুয়াহাটিতে রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস। তাতে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের একটি মিছিল রাজভবনের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। সেই মিছিল ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে পুলিশ। অসমের কংগ্রেস প্রধান ভূপেন কুমার বোরাহ এবং প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ রিপুন বোরা সহ বেশ কয়েকজন নেতাকে পুলিশ আটক করে বাসে তুলে নিয়ে যায়। কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, বাকি কর্মী সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। সেই সময় মৃদুল ইসলাম একজন আইনজীবী এবং কংগ্রেসের রাজ্য ইউনিটের আইনি সেলের সচিব আহত হয়েছিলেন। তাঁকে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশের এই পদক্ষেপকে পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস।অসমের কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈও রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুর নির্যাতনের নিন্দা করেছেন। এই ঘটনায় অসম কংগ্রেস রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে।
এদিকে, লখনউ-এ গোরখপুরের যুব কংগ্রেস নেতা প্রভাত পান্ডে নিহত হয়েছেন। সেক্ষেত্রেও, একইভাবে রাজ্য বিধানসভা অভিযানে ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস। তাতে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠি চার্জ করে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সেই সময় তিনি শ্বাসরোধ হয়ে মারা যান বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, কোনও রকমের বল প্রয়োগ করা হয়নি। তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। এই ঘটনাতেও মামলা দায়ের করেছে কংগ্রেস।