উঁচু জাতের ছাত্রীরা ক্লাস ফটো তুলবে। সেকারণে দুই দলিত স্কুল ছাত্রীর জামাকাপড় খুলে নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। কার্যত ওই দলিত ছাত্রীদের জামাকাপড় ধার নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশের হাপুরের ঘটনা।
উত্তরপ্রদেশের রাজ্য শিক্ষা দফতর ইতিমধ্যেই এনিয়ে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ন্যাশানাল কমিশন ফর সিডিউলড কাস্ট ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তলব করেছে।হাপুরের জেলাশাসক মেধা রূপম জানিয়েছেন, এফআইআর করার জন্য় পুলিশকে বলা হয়েছে।
সূত্রের খবর, এটি ১১ জুলাইয়ের ঘটনা। চতুর্থ শ্রেণির দুই দলিত স্কুল ছাত্রীকে জামাকাপড় খুলতে বাধ্য করা হয়। এরপর তাদের সেই পোশাক উঁচু জাতের ছাত্রীরা নিয়ে সেগুলি পরে ক্লাস ফটো তোলে। এমনকী ওই দলিত ছাত্রীরা যখন এনিয়ে আপত্তি জানায় তখন শিক্ষকরা পালটা ওই তাদের বকাঝকা শুরু করে দেন।
তবে বিষয়টি জানাজানি হতেই শিক্ষা অধিকারী অর্চনা গুপ্তা দুজন শিক্ষককে সাসপেন্ড করেছে। তবে এরপরেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। পরে শোষিত ক্রান্তি দল নামে এক এনজিও এই বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলের সামনে আনে।
এক ছাত্রীর বাবা একটি ইংরাজি সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন, বিষয়টি চাপা দেওয়ার জন্য় চাপ দেওয়া হয়েছিল। তবে অভিযোগ জানানোর পরেও পুলিশ কোনও এফআইআর নেয়নি। এরপর শিক্ষকদের বিরুদ্ধে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।