অভিযোগ, অতিরিক্ত পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের জ্বালা সহ্য করতে পারেননি দুজনেই। এরপরই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন কেরলের দুই বধূ। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই সামনে আসছে। আজকের দিনেও অতিরিক্ত পণ না মেটাতে পারায় কোনও বধূকে এভাবে চরম পথ বেছে নেওয়ার ঘটনাকে ঘিরে প্রশ্ন উঠছে।
সূত্রের খবর, আয়ুর্বেদিক মেডিসিন ও সার্জারি বিভাগের ২৪ বছরের এক ছাত্রী দেহ কোল্লামে তাঁর স্বামীর বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে তিরুবনন্তপুরমে একজন সদ্য বিবাহিতা নার্সিং ছাত্রী গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। দুটি ক্ষেত্রেই তাঁদের পরিজনরা অভিযোগ করেছেন তাঁদের খুন করা হয়েছে। পরে ওই মৃত বধূদের স্বামীদেরও গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে দুটি ক্ষেত্রেই পণের দাবিতে অত্যাচারের ঘটনা সামনে আসতে শুরু করেছে।
প্রথম ঘটনায় পরিবারের দাবি, ওই আয়ুর্বেদিক শাখার ছাত্রীকে পণের দাবিতে প্রথমে গাড়ি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নানা গঞ্জনা দেওয়া হয়। শ্বশুরবাড়ি থেকে কেন মাত্র ১০ লাখ টাকা মূল্যের গাড়ি যৌতুক হিসাবে দেওয়া হয়েছে এনিয়ে স্বামী তাঁকে নানাভাবে কথা শুনিয়েছিল বলে অভিযোগ। মৃত্যুর আগে ওই বধূ ভিডিও চ্যাটে এই অত্যাচারের কথা তুলে ধরেন।
কেরলের রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্যা শাহিদা কামাল বলেন, 'শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা থাকা সত্ত্বেও পণের দাবিতে অত্যাচার ও তার পরিণতিতে মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক।' এদিকে পুলিশ ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে। সোশ্য়াল মিডিয়াতেও গোটা ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।