গণেশ পুজোর নিরঞ্জনের শোভাযাত্রায় ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কর্ণাটকের একাংশ। তাতে একজন পুলিশ কর্মী-সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিলেন। এছাড়াও, একাধিক দোকান এবং গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সেই ঘটনায় ৫৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনায় ১০টি মতো এফআইআর রুজু করা হয়েছে। এদিকে এই হিংসার ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার বনধের ডাক দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দল। হিংসার ঘটনার পরেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গণেশ চতুর্থীর মিছিলে পাথর ছোড়ার অভিযোগ, প্রতিবাদে থানা ঘেরাও, ব্যাপক উত্তেজনা
যে জেলায় হিংসা ছড়িয়েছে, সেই জেলার জেলাশাসক জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত মদ বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও স্কুল বন্ধ ছিল। এছাড়া, ৫৪ জনকে দাঙ্গা, খুনের চেষ্টা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, হামলা, পুলিশকর্মীকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া-সহ হিংসায় বেআইনি সমাবেশের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই ঘটনার পরেই কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বরা বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুতে বলেছেন, ‘পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা পর্যাপ্ত বাহিনী মোতায়েন করেছি এবং সমস্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি।’ পুলিশ সুপার মল্লিকার্জুন বালাদান্ডি জানান, হিংসা পূর্বপরিকল্পিত কিনা, তা তদন্ত করছে পুলিশ।
কী ঘটেছিল?
অভিযোগে ওঠে, মাইসুরু রোডে শোভাযাত্রা চলাকালীন একটি দল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কাছে পাথর ছোড়ে। শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা নাচ শুরু করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত। একপক্ষ শোভাযাত্রা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি করলে এই হিংসার ঘটনা ঘটে। পুলিশও মিছিলে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। পরে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। তবে পুলিশ শোভাযাত্রার অনুমতি দিলেও পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়। দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে ।
ঘটনায় একাধিক দোকান ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। সবমিলিয়ে ২৫টি দোকান এবং আটটি মোটরসাইকেল, দুটি গাড়ি এবং অটো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একজন এসআই সামান্য আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় প্রাক্তন বিধায়ক ও জেডিএস নেতা সুরেশ গৌড়ার বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।