ফের সীমান্তে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে সংঘাত। কয়েকদিন আগেই মালদার সুকদেবপুরে দুই দেশের নাগরিকদের একে অপরের দিকে তেড়ে যেতে দেখা গিয়েছিল। আর এবার সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটল ত্রিপুরায়। রিপোর্ট অনুযায়ী, ত্রিপুরার কৈলাশহরে জিরো পয়েন্টে এসে ভারতীয়দের উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ভারতীয় কৃষকদের ফসল কেটে নিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশিরা। সেই সময় বাধা দিতে গেলে ভারতীয়দের ওপর চড়াও হয় বাংলাদেশিরা। এই হামলায় জখম হন দুই ভারতীয়। তাঁরা আপাতত হাসাতালে ভর্তি। অপরদিকে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, এই ঘটনায় এক বাংলাদেশির মৃত্যু ঘটেছে। সেই ঘটনায় পাঁচ ভারতীয়কে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের হয়েছে সেই দেশে। (আরও পড়ুন: ট্রাম্পের শুল্ক জুজুতে মথা নত, 'সব শর্ত মেনে' অবৈধ অভিবাসীদের ফেরাল কলম্বিয়া)
আরও পড়ুন: OpenAI-এর পর্দা ফাঁস করা বালাজির মৃত্যু ঘিরে ঘনীভূত রহস্য, সামনে এল ঘরের ছবি
আরও পড়ুন: আগুন! আতঙ্কিত যাত্রীরা ছুটে নামলেন ট্রেন থেকে, ব্যাহত লোকাল পরিষেবা
বিগত দিনে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ উঠেছে, বিজিবিকে ঘুষ খাইয়ে সীমান্ত পার করে ভারতীয় কৃষকদের ফসল কেটে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশিরা। এর আগে মালদার সুকদেবপুরে এই ঘটনা ঘটেছিল। এর জেরে বাংলাদেশিদের সীমান্ত পার করে অনুপ্রবেশে বাধা দিতে কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটিয়েছিল বিএসএফ। আর এবার ত্রিপুরাতেও বাংলাদেশিদের লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এই সংঘর্ষে বাংলাদেশের আহাদ আলি নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে বলে দাবি করা হয়েছে দৈনিক কালের কণ্ঠের রিপোর্টে। (আরও পড়ুন: নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সির গুরুদ্বারগুলিতে মার্কিনি অভিযান, কীসের খোঁজ চলছে?)
আরও পড়ুন: ভারতের থেকে ব্রহ্মোস কেনা প্রায় চূড়ান্ত ইন্দোনেশিয়ার? কত দাম পড়বে মিসাইলের
এদিকে এর আগে সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছিল, ত্রিপুরার উনকোটি জেলার সীমান্ত এলাকায় নাকি প্রায় ৬০ ফুট চওড়া বাঁধ তৈরি করা হচ্ছে। বাঁধটির উচ্চতা প্রায় ২০ ফুট। দাবি করা হয়েছিল, এই বাঁধ তৈরি হওয়ার পর ভারতের কৈলাশহরের বাসিন্দাদের জন্য তা মহাবিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে। কারণ, এই অংশে ভারতের তরফে যে বাঁধটি এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেটি বহু পুরোনো। এই অবস্থায় ভারী বর্ষণ হলে, বাংলাদেশের নতুন শক্তপোক্ত বাঁধ সেই অতিরিক্ত জলের চাপ সামলে নেবে। বদলে ভারতীয় অংশের দুর্বল বাঁধের উপর চাপ বাড়বে। তাতে ভারতীয় বাঁধটি ভেঙেও যেতে পারে। ফলত, প্রবল বন্য়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে ত্রিপুরার কৈলাশহর। এই পরিস্থিতিতে নাকি বাংলাদেশের এই বাঁধ নির্মাণে আপত্তিও জানিয়েছিল ভারত। পরিস্থিতি যে অত্যন্ত উদ্বেগজনক, তা স্পষ্ট হয়ে যায় মানিক সাহা এবং অমিত শাহের বৈঠকেও। তবে এরপরে বিএসএফ নতুন করে এই ইস্যুতে বিবৃতি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দাবিকে কার্যত নস্যাৎ করে দিয়েছে। যা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বর্ষার মরশুম শুরু হওয়ার আগেই বন্য়া রুখতে প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তাহলেই এলাকাবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। (আরও পড়ুন: লিভ-ইন সম্পর্কে থাকতে হলে এবার করাতে হবে রেজিস্ট্রেশন, নয়ত যেতে হবে জেলে)
আরও পড়ুন: হাসিনা কন্যা পুতুল তো কানাডার নাগরিক, দাবি বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের
এই নিয়ে আবার সরকার এবং বিএসএফের বক্তব্যে ফারাক দেখা গিয়েছিল। বাংলাদেশি বাঁধ সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। অপরদিকে বিএসএফ দাবি করেছিল, যে 'কাঠামো' নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, সেটি বাংলাদেশের শরিপুর এবং দেবীপুরের মধ্যে একটি উঁচু কাঁচা রাস্তা। সেখান দিয়ে পথচারী, সাইকেল, রিক্সা, অটো যায়। বিএসএফের এহেন মন্তব্য আগের রিপোর্টগুলিকে 'ভুল' প্রমাণিত করে। এই ঘটনার জেরে ফের একবার প্রকাশ্যে আসে বিএসএফ এবং রাজ্য সরকারের সমন্বয়ের অভাবের বিষয়টি।