নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে সন্দেহজনক জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে তিনটি বোমা ও বোমা তৈরির নানা সরঞ্জাম পেয়েছে পুলিশ৷ দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়৷ তারা নব্য জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য বলে সিটিটিসির দাবি৷ সেদিনই দুপুরে ভারতের কলকাতা থেকেও তিন জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানায় , রবিবার রাতে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) এবং সোয়াট পাঁচগাঁও এলাকার নোয়াগাঁওয়ের মিঞা সাহেবের বাড়িতে অভিযান চালায়৷ সেই সময় রাত পৌনে ১১টা থেকে ১১টা ১০ মিনিটের ভিতর পরপর তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়৷
অভিযান শেষে সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাড়িটিতে তিনটি শক্তিশালী আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে সোয়াট ও বম্ব ডিসপোজল ইউনিট৷ এছাড়া বোমা তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে৷ ওই বাড়িতে থাকা ব্যক্তিকে আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল৷ তার তথ্যের ভিত্তিতেই এই অভিযান চালানো হয়৷’
একতলা বাড়িটির পাশে একটি মসজিদ রয়েছে৷ বাড়িটিতে বিস্ফোরক দ্রব্য আছে সন্দেহে সিটিটিসি ঘিরে রেখেছে বলে আড়াইহাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনিসুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান৷ স্থানীয়দের তথ্য অনুযায়ী, মসজিদটির মুয়াজ্জিন আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতারের পর তার ঘরেই অভিযান চালানো হয়৷
পাঁচগাঁও এলাকার ফাইজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সম্প্রতি আবদুল্লাহ আল মামুন (২৫), খালিদ হাসান ভূঁইয়া (২৩) ও শফিকুল ইসলাম হৃদয় (১৮) নামে তিনজনকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে ধরে নেওয়া হয়৷ গত মে মাসে নারায়ণগঞ্জের একটি পুলিশ বক্সে যে বোমা পেতে রাখা হয়েছিল, সেটি মামুনের ঘর থেকে সরবরাহ করা হয়েছিল বলে পুলিশের দাবি৷ বোমা পেতে রাখার মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট৷ ওই বোমার সূত্র ধরেই রবিবারের এই অভিযান চলে৷ একই দিনে যাত্রীবাড়ি এলাকা থেকে মামুন ওরফে ডেভিড কিলারকেও গ্রেফতার করা হয়৷ এই অভিযানের সূত্রে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুর কাজিপাড়া এলাকায় আরও একটি ‘আস্তানা'-র সন্ধান পাওয়া গিয়েছে এবং সেটিও ঘিরে রাখা হয়৷